Archive for 2015-12-06

কোন দেশে কত টাকার ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টস লাগবে ইউরোপে পড়াশুনা করতে ??

By : RABBY
কোন দেশে কত টাকার ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টস লাগবে ইউরোপে পড়াশুনা করতে

ইউরোপের উচ্চশিক্ষার একটি অবিছেদ্য শর্ত হলো আপনি আর্থিক সাবলম্বী কি না .আপনি আপনার পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারবেন কি না. ভিসা আবেদনের আগে আপনাকে একটা নির্দিষ্ট পরিমান টাকার ব্যাঙ্ক সলভেনসি সার্টিফিকেট দেখাতে হবে যা আপনার প্রমান দেবে আপনি ইউরোপ আসার পর পড়াশুনার খরচ বা থাকা খাওয়ার খরচ বহন করতে সক্ষম হবেন . আজ আমাদের আলোচনার বিষয় হল কোন দেশের জন্য কি পরিমান টাকার ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে স্টুডেন্ট কাউনসিলরকে বা এম্বেসী তে . কোন দেশের ক্ষেত্রে ব্লক একাউন্ট দেখাতে হবে ? ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট তা মূলত এক বছরের থাকা খাওয়ার জন্য ওই দেশের Living expenses এর ১২ মাসের সমপরিমাণ টাকা দেখাতে হয় . যেমন দরুন জার্মানিতে এক মাসে ৬৭০ ইউরো খরচ হয় সেই ক্ষেত্রে আপনাকে ১২*৬৭০ =৮০৪০ ইউরো এক বছরে দেখাতে . দেশে ভেদে কেমন হবে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট তার উপর একটা সংক্ষিত বর্ণনা আমি দিচ্ছি । আশা করি ইউরোপে পড়তে ইচ্ছুক ভাই – বোনদের কাজে আসবে
প্রথমে বলে নেই ব্লক একাউন্ট এর বেপারে . ব্লক একাউন্ট সম্পর্কে অনেকের ধারণা না ও থাকতে পারে . ব্লক একাউন্ট হচ্ছে নরমালি একটি ব্যাঙ্ক একাউন্ট যেই একাউন্ট থেকে আপনি চাইলেও নির্দিষ্ট পরিমান টাকা ছাড়া সব টাকা একত্রে তুলতে পারবেন না . আর বিশেষ ক্ষেত্রে সম্পুর্ন টাকা ব্লক করা হতে পারে যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনার ভিসার প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে . ইউনিভার্সিটি থেকে কনফার্ম admission letter পাওয়ার পর সাধারণত এই ব্লক একাউন্ট করতে বলা হয় . এম্বেসীতে ভিসা আবেদনের পারবেন সম্পুন টাকা ব্লক করতে ( ইমিগ্রেশন রুলস অনুযায়ী ) ভিসা নিশ্চিত হওয়ার পর বাংলাদেশের ব্যাঙ্ক থেকে ব্লক একাউন্ট এর টাকা গুলো ওই দেশের ব্যাঙ্ক একাউন্ট এ ট্রান্সফার করতে হবে . যে খানে আপনি পড়াশুনা করতে আবেদন করেছেন . টাকা ট্রান্সফার এর বেপারে এম্বেসী ও ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল অফিস আপনাকে সাহায্য করবে . টেনশন করার কোন কারণ নাই.
কোন কোন দেশে ব্লক একাউন্ট দেখাতে হবে ?
১#জার্মানি এর ক্ষেত্রে ব্লক একাউন্ট দেখাতে হবে . টাকার পরিমান ৮০৪০ ইউরো . বাংলাদেশী টাকায়
৮ লক্ষ ৪ হাজার প্রায় .( কম বেশি হতে পারে দর অনুযায়ী )
২# নরওয়ে এর ক্ষেত্রে ব্লক একাউন্ট দেখাতে হবে . টাকার পরিমান ৯২০০০ নরওয়েজিয়ান
ক্রোনা=১২৫০০ ইউরো = ১৩ লক্ষ টাকা .
#ব্রিটেন এর ক্ষেত্রে ১০০০০ পাউন্ড.= ১২ লক্ষ টাকা
#সুইডেনের ক্ষেত্রে ৮৭৫০০ সুইডিশ ক্রোনা =১০.৫ লক্ষ টাকা .
#ফিন্লান্ডের ক্ষেত্রে ৬৭২০ ইউরো ( বেশি দেখাতে পারলে সমসা নাই )
#আয়ারল্যান্ড এর ক্ষেত্রে ৮০০০ ইউরো = ৮ লক্ষ টাকা .
#অস্ট্রিয়া এর ক্ষেত্রে ৬৫০০ ইউরো = ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা
#পোল্যান্ড ৫৫০০ USD . ৪ লক্ষ টাকা প্রায় .
# লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, এস্তোনিয়া ৪৫০০-৫০০০ ইউরো = ৪.৫ -৫.০ লক্ষ টাকা .
#ইতালির ক্ষেত্রে ৭ লক্ষ টাকা .
# বেলজিয়াম + নেদারল্যান্ড এর ক্ষেত্রে ৭৫০০ ইউরো =৭.৫ লক্ষ টাকা .
# পর্তুগালের জন্য ৫০০০ ইউরো =৫ লক্ষ টাকা .
#স্পেন এর ক্ষেত্রে ৬ লক্ষ .
# রোমানিয়া , বুলগেরিয়া এর ক্ষেত্রে ৪ লক্ষ টাকা .
# সাইপ্রাস এর ক্ষেত্রে ৫০০০ ইউরো = ৫ লক্ষ টাকা .
আরো যদি কোন দেশের ব্যাপারে কারো আগ্রহ থাকে তাহলে আমাদেরকে লিখতে পারেন. কোন বিষয়ে কোন ভুল ভ্রান্ত্রি  থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন . সর্বদা আমাদের আপডেট পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেইবুক পেইজে 
ধন্যবাদ সবাইকে . অ্যাডমিন

অনলাইনে ভিসা,পাসপোর্ট,রেসিডেন্ট পার্মিট ,ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি কিভাবে চেক করবেন?

By : RABBY
বিদেশে আসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো হল পাসপোর্ট ও ভিসা । আর আমাদের দেশে থেকে যারা মিডল ইস্ট , ইউরোপ, কিংবা আফ্রিকা ভ্রমন কিংবা কাজের ভিসা নিয়ে যান তাদের অনেকেই অনেক সময় জাল ভিসা ও পাসপোর্ট বলে পুলিশ এর হাতে এয়ারপোর্ট এ আটকা পড়ে । কতিপয় দালাল এই সব ভিসা তৈরির কাজ করে থাকেন আর এর সাজা ভোগ করে নিরীহ বাঙালি । তাই আজকে আমার আলোচনার বিষয় বিদেশে আসার আগে কীভাবে ভিসা চেক করবেন?  যারা ভিসা হাতে পাওয়ার পর বুঝতে পারেন না এটা আসল কিনা নকল তারা সহজে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে ভিসা চেক করতে পারবেন ।  আমি আপনাদের কে কতিপয় দেশে ভিসা চেক করার পদ্ধতি ও ওয়েবসাইট সমুহের নাম দিচ্ছি ।
এই সব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি অনি দেশের কাজের ভিসা ও রেসিডেন্ট পার্মিট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন ।
১#বাংলাদেশ http://www.moi.gov.bd/
২#তানজানিয়া http://www.tanzania.go.tz/
৫#পাকিস্তান http://www.moitt.gov.pk/
৬# সৌদি আরব http://www.moi.gov.sa   http://mol.gov.sa/
৭#দুবাই http://www.moi.gov.ae
৯# সাইপ্রাস http://www.moi.gov.cy
১০#আলবেনিয়া http://www.moi.gov.al/
১১# জাম্বিয়া http://www.moi.gov.gm/
১২#জর্ডান http://www.moi.gov.jo/
১৩# ইন্ডিয়া http://labour.nic.in/content/
১৪#কেনিয়াhttp://www.labour.go.ke/
১৬#সিঙ্গাপুর http://www.mom.gov.sg
১৭# স্লোভেনিয়া http://www.mddsz.gov.si/en
১৮#শ্রীলঙ্কা http://www.labourdept.gov.lk/
১৯# দক্ষিণ আফ্রিকা https://www.labour.gov.za/
২০#থাইল্যান্ড http://www.mfa.go.th/main/
২১#বাহরাইন http://www.mol.gov.bh/
২৩#কানাডা http://www.labour.gov.on.ca/english/
২৪#কোরিয়া http://www.moel.go.kr/english
২৫#জাপান http://www.mhlw.go.jp/english/
২৬#পোল্যান্ড http://www.mpips.gov.pl/en
২৭#ইংল্যান্ড http://www.ukba.homeoffice.gov.uk/
২৮#বুলগেরিয়া http://www.government.bg/
২৯#স্পেন http://www.empleo.gob.es/en/
৩০# ইউক্রাইন http://www.mlsp.gov.ua/labour/control/uk/index
৩১# মালায়শিয়া http://www.mohr.gov.my/index.php/en/
৩২#কানাডা http://www.cic.gc.ca/english/index-can.asp
৩৩#ওমান http://www.rop.gov.om/
৩৪#ওগান্দা http://www.mglsd.go.ug/
৩৫#ফিলিপাইন http://www.dole.gov.ph/
আর ইউরোপের ভিসা, পাসপোর্ট, রেসিডেন্ট পার্মিট , ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি চেক করতে হলে নিচের ওয়েবসাইটে গিয়ে চেক করতে হবে । এখান থেকে আপনি সব কয়টি  ুইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ভুক্ত দেশের ডকুমেন্টস চেক করতে পারবেন । আর সব দেশের ডকুমেন্টস এর ফরম্যাট ও দেয়া আছে কোন দেশের ভিসা, পাসপোর্ট, রেসিডেন্ট পার্মিট , ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি কেমন হয় সেটাও আপনি দেখতে পাবেন ।
চেক করতে পারেন এই ওয়েবসাইট থেকে :

জেনেনিন বিসিএস ভাইভার খুঁটিনাটি প্রস্তুত করুন নিজেকে

By : RABBY
Any viva is a game. এই গেইমে নিজেকে পণ্ডিত প্রমাণ করা নয় – কনভিন্স করে জিততে হয়। কনভিন্স করার জন্য দুটো জিনিস প্রয়োজন হয় – Confidence & modesty. ভাইভাতে অনেক প্রশ্নই কমনসেন্স থেকে করে। আর সেগুলোর জন্য আত্মবিশ্বাস আপনাকে এগিয়ে রাখবে। তাই কনফিডেন্ট হোন। কত যদু, মধু ভাইভাতে কত ভালো করছে, তাহলে আমি কেন নয়। এই ভাবটা অন্তর দিয়ে অনুভব করুন। কনফিডেন্স আসবে। এরপর বিনয়। কোন বসই পণ্ডিত চায় না, একজন competent & loyal লোক চায়। আপনি নিজেও যদি ভাইভা নেন, তখন নিজেকে মনে হবে জ্ঞানবৃক্ষ আর পরীক্ষাত্রীদের মনে হবে অবোধশিশু, চারাগাছ। তাই পরীক্ষক কখনোই এক্সপেক্ট করেন না যে, পরীক্ষার্থী তাকে হাইকোর্ট দেখাবে। তাই অবশ্যই যে কোন অবস্থাতে বিনয়ী থাকতে হবে। তাই Confidence ও modesty মিলিয়েই আপনাকে জিততে হবে। It’s a market, you have to sell yourself only.
.
কিভাবে শুরু করবেন? বিসিএস ভাইভা হয় মূলত ক্যাডার চয়েসের উপর। একটা নতুন বা পুরাতন যে কোন ভাইভা গাইড জোগাড় করুন। প্রশ্নের ধরন দেখুন। গাইড ও ইন্টারনেট থেকে ফার্স্ট আর সেকেন্ড চয়েজের সাধারণ বিষয়গুলি দেখে ফেলুন। তবে এর জন্য ঘুম হারাম করার কোন দরকার নাই। বিসিএস ভাইভার জন্য এগুলো ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ না। তবে এগুলো না জানলে কনফিডেন্স আসবে না। গাইডের উত্তর ৯০% ক্ষেত্রে আপনার পছন্দ হবে না, তখন ইন্টারনেট দেখুন। কিছু জিনিস লিখে ফেলুন। এতে উত্তরগুলো গাইডের মত না, নিজের মত হবে।
Most Vital Part: কয়েকটা কমন প্রশ্ন প্রায় সবাইকে করে। এগুলো নিজে তৈরি করে লিখে ফেলুন। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর গতানুগতিক না দিয়ে একটু আলাদা করে বলতে চেষ্টা করুন। নিজের উত্তরের সাথে ইউনিক (আলাদা কিছু যা একান্তই আপনার) কিছু যোগ করতে পারলে – সেটা কাজে দেবে। এরকম কিছু কমন প্রশ্ন হলো – (i) কেন বিসিএস দিচ্ছেন? (ii) ফার্স্ট চয়েস এটা কেন? (iii) আপনার একাডেমিক সাবজেক্টের সাথে ফার্স্ট চয়েস কিভাবে রিলেটেড? (iv) নিজ জেলা সম্পর্কে – জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি, নদী, জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, নামকরণ, জেলার বিখ্যাত কয়েকজন সিভিল সার্ভিস অফিসারের নাম। (v) নিজের নাম বা জন্মদিনঃ নিজের নামে কোন বিখ্যাত ব্যক্তি থাকলে তাঁর কথা জেনে নিন। নিজের জন্মদিন কোন বিশেষ দিন হলে সেই দিনের ইতিহাস জেনে নিন।
এসব প্রশ্নের উত্তর মুখস্ত টাইপ না, গল্প টাইপ করে বলতে পারলে ভাল হয়। গাইডের উত্তর না, একেবারে নিজের জীবনের কিছু বলতে পারলে সেটা বিশ্বাসযোগ্য হয়। যেমন, কেন বিসিএস দিচ্ছেন – এ প্রশ্নে আমার উত্তর ছিলো মোটামুটি এরকমঃ ‘স্যার আমি কিছুদিন সফটওয়্যার কোম্পানিতে কাজ করেছি। বিদেশী কোম্পানির আউটসোর্সিং কাজ। কিন্তু দিন শেষে বাসায় ফিরে মনে হতো – আমি কার জন্য কী করছি! এখানে বেতন ছাড়া আমার কোন প্রাপ্তি নেই। ছোটবেলা থেকে যেভাবে নিজেকে দেখতে চেয়েছি, প্রাইভেট জবে সেভাবে নিজেকে পাচ্ছি না, মানসিক শান্তি পাচ্ছি না। আমি দেশের জন্য আরো বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ চাই। প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী হতে পারলেই আমি সেই সুযোগটা পেতে পারি। এজন্যেই বিসিএস দিচ্ছি, স্যার।’
.
সাম্প্রতিক বিষয়ঃ একেবারে সাম্প্রতিক বিষয়গুলোই প্রশ্নকর্তার মাথায় বেশি থাকে। এজন্য পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতার কয়েকটা কলাম প্রতিদিন পড়ুন। অনেকে টকশো দেখার কথা বলেন। কিন্তু এখন এত বেশি টকশো হয় যে, এতে প্রিপারেশানের সময় নষ্ট আর ইনফরেশান বিচ্যুতির সম্ভাবনা থাকে।
.
Common Sense of Viva: ভাইভার কিছু কমন বিষয় যেগুলো আপনি জানেন। আমি আবার মনে করিয়ে দিচ্ছিঃ (i) অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করুন। সালাম দিয়ে, অনুমতি নিয়ে বসুন। (ii) স্মাইলিং ফেইস রাখা জরুরী। (iii) আই-কন্টাকঃ ভাইভা বোর্ডের সবার সাথে আই-কন্টাক বজায় রাখুন। ভাইভা বোর্ডে ৩/৪ জন থাকেন। একটি প্রশ্ন যিনি করবেন, উত্তরের সময় তাঁকে মূল ফোকাস দিয়ে সবার দিকে অন্তত একবার তাকান। বিসিএস ভাইভাসহ অনেক ভাইভাতেই একজন মনোবিজ্ঞানী থাকেন। উনি কিচ্ছু বলেন না। চুপচাপ বসে থাকেন। ওনাকে অবহেলা করবেন না। অবশ্যই ওনাকেও আই কন্টাকে রাখুন। (iv) পোশাকঃ মার্জিত কিন্তু নিজের জন্য কমফোর্টেবল পোশাক পড়ুন। সেটি স্যুট হতে পারে, শার্ট-প্যান্টের সাথে টাই, শাড়ি, সেলোয়ার-কামিজ যে কিছু হতে পারে। যেটা পড়লে আপনি নিজেকে একজন অফিসারসুলভ মনে করবেন, সেটাই পড়ুন। ৩৪-তম বিসিএসের ভাইভার আগে আমাকে এক পরীক্ষার্থী জিজ্ঞেস করল, ভাইয়া কোন টেইলার্স থেকে স্যুট বানাবো। সে ধরেই নিয়েছে, স্যুট তাঁকে পড়তেই হবে। আর টেইলার্সের খবর দিতে আমিই যোগ্য ব্যক্তি। কদিন পড়ে সে আবার খবর দিল, সে বারো হাজার টাকা দিয়ে এক বিখ্যাত টেইলার্স থেকে স্যুট বানিয়ে ফেলেছে। বেশ মজা লাগলো। কিন্তু ওর এপ্রোচটাকে অবশ্যই পজিটিভলি নিলাম। সে যেটা ঠিক মনে করেছে, সেটা করে ফেলেছে। পোশাকের জন্য এটাই সঠিক এপ্রোচ। (v) কোনমতেই argue করা বা তর্ক করা যাবে না। Interviewer যদি ভুলও বলে, তবে ভুলটা মেনে নিয়ে বিনয়ের সাথে নিজের টুকু যোগ করা যায়, তাঁর বেশি নয়।’
.
ভাইভার দিন সকালে কি করবেন? সকালেই ঐ দিনের ২/৩ টা খবরের কাগজে চোখ বুলিয়ে নিন। ঐ দিনের বাংলা তারিখ জেনে নিন। ঐ দিন কোন জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোন দিবস বা বিশেষ ঘটনা ঘটে থাকলে সেটার বিস্তারিত জানতে হবে। ওই সময় কোন বিখ্যাত ব্যক্তি বাংলাদেশে ভ্রমণ করলে বা বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি বা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোথাও সফরে গেলে সেটা গুরুত্বপূর্ণ।
.
প্রশ্ন কি ইংরেজীতে করবে? ভাইভাতে ২/১ টা প্রশ্ন ইংরেজিতে করে। আর যাদের ফরেন ফার্স্ট চয়েস, তাঁদের বেশিরভাগ প্রশ্নই ইংরেজীতে করতে পারে। বিদেশি ভাষায় সবারই সমস্যা থাকে। তাই এই সমস্যা নিয়া ভাবার দরকার নাই, ভাবুন এটা সবারই জন্য কম-বেশী একই। ইংরেজী বলার ভীতিটা যাদের বেশি, তাঁরা দুটি কাজ করতে পারেনঃ (i) কমন প্রশ্নগুলার ইংরেজী উত্তর নিজে নিজে বলে সেটি মোবাইলে রেকর্ড করুন। এরপর শুনুন। নিজেই বুঝবেন কিভাবে বললে আরও ভালো হতো। পরের বার রেকর্ডে অবশ্যই উন্নতি হবে। এ্যাঁ, আঁ, উঁ …এসব বাদ দিয়ে ইংরেজী বাক্য স্মার্টলি শেষ করার জন্য এর চেয়ে ভালো টেকনিক আর নেই। (ii) কমন প্রশ্নগুলার ইংরেজী উত্তর প্রেমিক/প্রেমিকা/বন্ধুর কাছে বলতে পারেন। আফসোস, আমার প্রেমিকা সেই সময় কাছে আসলে, তাঁর সাথে কালিদাসও আসত – ‘মেঘদূত’ হাতে নিয়ে। তাই পরীক্ষার আলাপ পাত্তাই পেত না। আপনার তো সেই সমস্যা নেই।
.
শেষ কথাঃ ফর গড সেক, আমি যেভাবে আমার কথাগুলো বললাম, সেভাবে আমারে কেউ বলে নাই। সেই সময় ফেইসবুকে পরামর্শ নেবার মত স্মার্ট আমি ছিলাম না। আমি বিসিএসের জন্য কোন কোচিং করি নাই। ২/৩ টা কোচিং আমার নাম তাঁদের লিফলেটে ব্যবহার করেছে, কিন্তু তা ডাহা মিথ্যা। এই মিথ্যার জন্য অনেকে মাপ চেয়েছে, কিন্তু লিফলেটে নাম দেয়া বন্ধ করে নাই। যাই হোক, এসবের মানে – ভাইভা প্রিপারেশানে আপনার অবস্থা আমার থেকে ভাল। তো আপনি আজই কনিফিডেন্ট হয়ে যান। আজই আর হরিপদ কেরানী নয়, আকবর বাদশা হয়ে যান। তবে একজন বিনয়ী বাদশা। কনফিডেন্স আর বিনয় দিয়ে জয় করুন ভাইভা বোর্ডকে।
শুভকামনা!

৩৬তম বিসিএস প্রিলিমিারি পরীক্ষার বিষয় ও নম্বর বন্টন:

ক্রমিক নংবিষয়ের নামনাম্বার বন্টন
1বাংলা ভাষা ও সাহিত্য৩৫
2ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য৩৫
3বাংলাদেশ বিষয়াবলি৩০
4আর্ন্তজাতিক বিষয়াবলি২০
5ভুগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা১০
6সাধারণ বিজ্ঞান১৫
7কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তি১৫
8গাণিতিক যুক্তি১৫
9মানসিক দক্ষতা১৫
10নৈতিকতা, মুল্যবোধ ও সুশাসন১০
সর্বমোট২০০

Study In New Zealand – নিউজিল্যান্ডে উচ্চ শিক্ষার যাবতীয় তথ্য

By : RABBY
৫০ লাখের কম জনসংখ্যার দ্বীপরাষ্ট্র নিউজিল্যান্ড বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে উচ্চশিক্ষার আকর্ষণীয় গন্তব্য। কারণ দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। তাই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা সেখানে পড়তে যায়। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও নিউজিল্যান্ডকে তাদের উচ্চশিক্ষার গন্তব্য হিসেবে বেছে নিচ্ছে। দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা ব্রিটিশ শিক্ষাব্যবস্থার আদলে গঠিত। ফলে শিক্ষার্থীরা গবেষণা ও ইন্টার্নশিপের সুযোগ পায়। এতে ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গড়তে সহায়ক প্রায়োগিক দক্ষতা শিক্ষার্থীরা অর্জন করতে পারে।
নিউজিল্যান্ডে মাত্র আটটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এগুলোর প্রতিটি উচ্চমানের গুণগত শিক্ষা প্রদান করে থাকে। বৈশ্বিক ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিংয়ে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান রয়েছে শীর্ষ সারিতে। যেমন টাইমস হায়ার অ্যাডুকেশন এবং সাংহাই জিয়াও টং ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিংয়ে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্থান পেয়েছে। ২০১২-১৩ কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিংয়ে দেশটির আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সাতটিই স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে শীর্ষ দুটি হচ্ছে ইউনিভার্সিটি অব অকল্যান্ড [৮৩তম] ও ইউনিভার্সিটি অব ওটাগো [১৩৩তম]। বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ ইউনিভার্সিটির তালিকায় স্থান পাওয়া দেশটির অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে- ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলিংটন, ইউনিভার্সিটি অব কানটেরবারি, ইউনিভার্সিটি অব ওয়েইকাতো এবং ম্যাসেই ইউনিভার্সিটি।
উচ্চ শিক্ষার খরচ : উচ্চ শিক্ষার খরচ তুলনামূলক বেশি। তবে খরচ প্রধানত নির্ভর করে পছন্দের প্রতিষ্ঠান, বিষয় ও কোন পর্যায়ে পড়াশোনা করবে তার ওপর। আন্ডার-গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে পড়াশোনার খরচ পড়বে সাধারণভাবে বছরে ১৮ হাজার থেকে ২৫ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার। আর পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট স্তরে খরচ দাঁড়াবে গড়পরতায় ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার। তবে খরচ মূলত নির্ভর করে শিক্ষার্থীর পছন্দের বিষয়ের ওপর। যেমন আন্ডার-গ্র্যাজুয়েট স্তরে আর্টস, হিউম্যানিটিস, সামাজিক বিজ্ঞান, ম্যানেজমেন্ট বা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য বার্ষিক খরচ পড়বে ১০ হাজার, ১২ হাজার থেকে ১৮ হাজার ডলার পর্যন্ত। আর জীবনযাপনের খরচ নির্ভর করে শিক্ষার্থীর অবস্থান ও আবাসনের ধরনের ওপর। তবে সাধারণভাবে এ খরচ পড়বে বার্ষিক সাত হাজার থেকে ১২ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলারের মতো।
এদিকে পড়াশোনার খরচের বোঝা হ্রাসের ক্ষেত্রে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নানা ধরনের বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। দেশটির সরকার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি উৎস থেকে তারা বৃত্তি পেতে পারে।
পার্টটাইম কাজের সুযোগ : পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম কাজের সুযোগ আছে। পূর্ণকালীন বিদেশি শিক্ষার্থীরা পড়াশোনাকালীন সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২০ ঘণ্টা কাজের অনুমতি পায়। আর ছুটির দিনে পূর্ণকালীন কাজের সুযোগ রয়েছে। তবে কোনো শিক্ষার্থী পার্টটাইম কাজ করতে পারবে কি পারবে না তা ভিসার শর্তেই যুক্ত থাকে। সে ক্ষেত্রে ভিসার শর্তাবলী ভালো করে দেখে নিতে হবে।
ইংরেজি : দেশটির সরকারি ভাষা তিনটি। ইংরেজি, মাওরি ও নিউজিল্যান্ড সাইন ল্যাংগুয়েজ। মাওরি সরকারি ভাষা হলেও ইংরেজির জনপ্রিয়তায় তা প্রায় হারিয়ে যাওয়ার পথে। তাই এটিকে সংরক্ষণের অংশ হিসেবে স্কুল ও গণমাধ্যমে মাওরি এখন সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয়। তবে বিদেশি শিক্ষার্থীদের দেশটিতে উচ্চশিক্ষার জন্য অবশ্যই ইংরেজি জানতে হবে। এ জন্য তাদের ইংরেজি দক্ষতা নির্ধারণের একটি পরীক্ষা আইইএলটিএস-এ ভালো স্কোর পেতে হবে। আন্ডার-গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য আইইএলটিএস ব্যান্ড স্কোর নূ্যনতম ৫.৫ থাকতে হবে। ৬.০ হলে ভালো। আর পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট স্তরের জন্য তা ৬.০ থাকতে হবে। ৬.৫ হলে ওকে। তবে প্রতিটি ব্র্যান্ডে নূ্যনতম ৬ স্কোর থাকতে হবে। এদিকে এসএসসি ও এইচএসসির প্রতিটিতে নূ্যনতম জিপিএ-৩.৫ থাকতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট :

www.universitiesnz.ac.nz
www.studyplus.co.nz
www.newzealandnow.go
www.edusearch.co.nz
www.minedu.govt.nz
www.immigration.govt.nz
www.otago.ac.nz.

Study In Canada কানাডায় উচ্চ শিক্ষা : ভিসার জন্য দৌড়াদৌড়ি

By : RABBY
কানাডায় ভিসার জন্য কাগজ প্রসেসিং দুইভাবে করা যায়। ১. সরাসরি সব ডকুমেন্টস হাইকমিশনে জমা দিয়ে, অথবা ২. ভিএফএস বলতে হাইকমিশনের মনোনীত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জমা দিয়ে। আমি ভিএফএস এর খেকে করেছিলাম, ভিএফএস আসলে কুরিয়ার এর কাজ করে, সব ডকুমেন্টস অ্যাপ্লিক্যান্ট এর থেকে নিয়ে হাইকমিশনে জমা দেয়।
কানাডায় উচ্চ শিক্ষা  ভিসার জন্য দৌড়াদৌড়ি
ভিসা প্রসেসিং এর জন্য প্রথমেই সিটিজেনশিপ এন্ড ইমিগ্রেশন কানাডার ওয়েবসাইট ভালমত দেখে কিছুক্ষন উদাস হয়ে বসে খাকতে হবে। বিশেষ করে Instruction Guide (IMM 5269)পড়ে নিয়ম গুলো ভাল করে দেখার পরামর্শ রইল।

প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র:

দরকারী ফরম আর কাগজপত্রের চেকলিস্ট ভিএফএস এর সাইটবা হাইকমিশনের সাইট -এ পাওয়া যাবে। সব গুলো ফরম ডাউনলোডের পরে ওপেন করে দুইহাত দিয়ে ভালমতো মাথা চুলকে নিতে হবে। এর পরে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংগ্রহের অভিযানে নামতে হবে। স্টাডি পারমিট চেকলিস্ট -এই কি কি লাগবে মূলত: বলা আছে, তবু্ও আমি আর একটু খই ভাজি।
সাপোর্টিং ডকুমেন্টস হিবেবে ইউনিভার্সিটির ভর্তির অফার লেটার, টিএ/আরএশিপ এর অরিজিনাল কপি লাগবে। স্ক্যান কপি দিয়েও অ্যাপ্লাই করা যায়, তবে প্রসেসিং শুরুর সময় তারা মূল কপি চাইবেই। কারো অফার লেটার যদি কন্ডিশনাল হয়, সেইক্ষেত্রে কিভাবে কন্ডিশন স্যাটিসফাই করা হবে সেই সন্ক্রান্ত কাগজ ও দিতে হবে। আমি আন্ডারগ্র্যাড এর ৭টার্মের রেজাল্ট দিয়ে ইউনির্ভাসিটিতে অ্যাপ্লাই করেছিলাম। আমার অ্যাডমিশন অফার লেটার-এ বলা ছিল বিএসসি সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। আমি বিএসসি সাটিফিকেট এখন পর্যন্ত দিতে পারিনি, আমার প্রসেসিং পেন্ডিং আছে। এছাড়া আন্ডারগ্র্যাডুয়েট/মাস্টার্স, এইচএসসি, এসএসসির সাটিফিকেট ও মার্কশীট, আইইএলটিস/টোফেল এর রেজাল্ট লাগবে। সকল ডকুমেন্টস এর মূল কপি ও এক কপি ফটোকপি দিতে হবে, আমি ফটোকপি সার্টিফাইড করে দিয়েছিলাম, সেই প্রসংগে পরে আসছি। পাসপোর্টের ফটোকপি ২-১ কপি বেশি নিয়ে যাওয়া ভাল।
এর পরে যারা স্পন্সর থাকবে (বাবা-মা বা নিকট আত্নীয়) তাদের আয়কর সনদ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট যাতে কমপক্ষে ছয়মাসের ট্রানসাকাশন থাকতে হবে, এফডিআর/সঞ্চয়পত্র এই সবের স্টেটমেন্ট লাগবে। আমার কাছে ভিএফএস থেকে স্পনসরদের চাকুরীর অ্যাপয়েন্ট লেটারও চেয়েছিল, আমি দিতে পারিনি। এটা তেমন বাধ্যতামূলক না, তবে সাথে থাকলে দেয়া যেতে পারে। যদি স্পন্সর রক্তের সম্পর্কযুক্ত না হয় তবে কেন উনি স্পনর হতে চান এই বিষয়ে বলতে হবে। আমার ক্ষেত্রে আমার বাবা-মা স্পন্সর ছিলেন, তাই এই বিষয়ে কি কি কাগজ দিতে হবে আমি ঠিক নিশ্চিত না।
বার্থ সাটিফিকেট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট লাগবে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাবার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ডিএমপির সাইটের এইপিডিএফ এ পাওয়া যাবে। ক্লিয়ারেন্স এর জন্য ৫০০/- টাকার ট্রেজারী চালান করতে হয়। এইটা আবার সোনালী ব্যাংক এর সব শাখায় করা যায় না। বুয়েটের নিকটবর্তী এলাকার মাঝে নিউমার্কেট ও হাইকোর্ট শাখায় করে। অন্য আর কোথায় করে নিশ্চিত না, তবে যেকোন শাখা থেকে শুনে নেয়া যাবে। ট্রেজারী চালান এর ফরম পূরন এর সময় কোড নম্বর (1-2201-0001-2681) এ কাটাকুটি বা ভুল হবার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। মুড়ি খেতে না চাইলে ক্লিয়ারেন্স এর জন্য আবেদন জমা দিতে বিকাল ৪টার পূর্বেই যেতে হবে।
কানাডায় স্টাডি পারমিট এর জন্য কমপক্ষে ১০,০০০ কানাডিয়ান ডলার এর সমতুল্য টাকা/সম্পদ দেখাতে হয়। তবে কোন আপার লিমিট নাই। রুল অব বৃদ্ধাঙ্গুল হিসেবে যত বেশি যত লিকুইড মানি+প্রপারটি দেখানো যায় ততই ভাল। টাকা বা সম্পত্তি (যেমন বাড়ি, জমি, ফ্ল্যাট, টাকা ইত্যাদি) যাই দেখানো দরকার নোটারাইজড করে দিতে হবে। আমি গুলশান-২ গোলচক্কর এর কাছে জাহিদ প্লাজার ২য় তলায় অ্যাডভোকেট মনজুর কাদির এর থেকে করেছিলাম। ওখানে গিয়ে কানাডার স্টাডি পারমিটের জন্য নোটারী করতে চাই বললেই ওরা ১টা এভিডেভিড করে দিবে। এভিডেভিড করার জন্য আমি সব ডকুমেন্টস এর মূল কপি নিয়ে গিয়েছিলাম, যদিও অ্যাডভোকেট কিছুই দেখেননি। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সাথে নিয়ে যাওয়া ভাল। আমি অবশ্য প্রতিটি ডকুমেন্টস (অফার লেটার, পুলিস ক্লিয়ারেন্স, বার্থ সাটিফিকেট, ব্যান্ক স্টেটমেন্ট সহ আর যা যা জমা দিতে হবে) এর ফটোকপি নোটারীর অফিস থেকে সার্টিফাইড করে নিয়েছিলাম। সার্টিফাই করে নিলে ওরা ১টা লাল খাঁজকাটা সিল মেরে দিবে। ফটোকপির সার্টিফাইড কপি জমা দেয়া বাধ্যতামূলক না, আমি দিয়েছিলাম। প্রতি কপি সার্টিফাই করতে ২০/- করে নিয়েছিল। সব মিলিয়ে নোটারীর অফিসে ১৫০০-/ বা ২০০০/- টাকা বিল এসেছিল, সঠিকটা মনে নাই। নোটারীর অফিস সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

ছবি:

ভিসার জন্য ছবি জমা দেবার ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন আছে। সোজা উপায়ে পয়সা খরচ করতে না চাইলে ঘরের দেয়ালের সামনে দাড়িয়ে ছোট ভাইবোনকে দিয়ে ছবি তুলে নেয়া যেতে পারে। পরে স্কেল দিয়ে খোমা মেপে গিম্পে এডিট করে নিলেই হবে। অল্টারনেট অপশন হিসেবে গুলশান-২ তে ভিআইপি স্টুডিও (Gulshan Palladium (1st floor), রোড ৯৫, গুলশান-২) থেকেও তোলা যায়। এইক্ষেত্রেও দেশের নাম বলে দিলে ওরা ঐ মাপে ছবি তুলে দেয়। আমি অবশ্য ছবি তোলার জন্যই জীবনে প্রথমবারের মত টাই পরেছিলাম। নোটারীর অফিস আর স্টুডিও হন্টন দুরত্ব। একাধিক বার যেতে না চাইলে একই দিনে নোটারী আর ছবি তোলার ঝামেলা শেষ করে ফেলাই উত্তম।

ফরম পূরণ:

অ্যাপ্লিকেশন ফরম (IMM1294E) পূরণ করার জন্য অ্যাডোবি অ্যাক্রোব্যাট রিড়ার লাগবে। আমার কাছে অ্যাক্রোব্যাট এর ফ্রি ভার্সণ ছিল, ওইটা দিয়ে পিডিএফ এর উপর লিখতে পারিনি। বাকি ফরম যেমন ফ্যামিলি ইনফরমেশন, স্টুডেন্ট ক্যোশ্চিনিয়ার এইসব আমি ফক্সইট দিয়ে পূরণ করেছিলাম।
স্টুডেন্ট ক্যোশ্চিনিয়ার এর ২ ও ৫ পূরণ এ সতর্ক থাকতে হবে। “Why have you chosen to study abroad? How does this course differ from similar courses available in Bangladesh?” এর উত্তরে বলা যেতে পারে X ইউনিভার্সিটির Y কোর্সটা বাংলাদেশের ভবিষ্যত উন্নতির জন্য ইতিবাচক, এর ফলে এদেশের জনগোষ্টীর একটা বিশাল অংশ P Q R উপকার সমূহ পাবে। এছাড়া আরও কয়েকটি টিপস:
১. ফরম গুলো একটু সময় নিয়ে কয়েকদিন ধরে পূরণ করলে ভাল।
২. ফরমের প্রিন্টআউড নিতে লেজার প্রিন্টার রিকমেন্ড করা হয়। লেজার প্রিন্ট এর সুবিধা থাকলে তা দিয়ে করাই শ্রেয়।
৩. পুরো প্রসিডিওর সমাপ্ত করতে গিয়ে জীবনের প্রতি বৈরাগ্য আসতেই পারে, এটা স্বাভাবিক।
৪. সম্ভব হলে অন্যান্য ডকুমেন্টস আগে থেকেই রেডি করে রেখে অফার লেটার পাবার পর সময় নষ্ট না করে স্টাডি পারমিটের জন্য আবেদন করে ফেলা ভাল।
ডকুমেন্টস জমা:
সকল ফরম প্রিন্ট করে জমা দেবার আগের দিন ই রিভিউ করে রাখা উত্তম। আমার সব কিছুই ১১তম ঘন্টায় হয়, কাজেই যারা আমার মত তারা জমা দেবার দিন সকালে তাড়হুড়ো করে প্রিন্ট করতে পারো। ডকুমেন্টস জমা দেবার আগের দিন রাতে ভিসা রিফিউসাল এর মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে আর্টফিলম দেখা যেতে পারে।
ডকুমেন্টস জমা দেবার দিন সকাল সকাল ই মিশন ভিএফএস এ রওনা দেয়া উচিত। কোন কারন নাই, তবু্ও আমি রিকমেন্ড করব ফরমাল ড্রেসআপ এ যেতে। ভিএসএর সাইটে লোকেশন পরিস্কার করেই দেয়া আছে। কিন্তু আমি গুলশানের দিক একটু কম চিনি দেখে খুঁজে পেতে একটু সমস্যা হয়েছিল। কেউ যদি মহাখালী-তিতুমীর কলেজের-ব্র্যাক উইনির সামনে দিয়ে যায় তাহলে গুলশান ১ এর গোলচক্কর থেকে হাতের ডানে যেতে হবে। কিছুদুর গেলেই অ্যাবাকাস চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ছাড়িয়ে সামনে গেলে হাতের উল্টো পাশে সিমেনস এর সাদা বিল্ডিং দেখা যাবে। তার পাশেই ভিএফএস এর অফিস।
ভিএফএস এর অফিস এ কি কি অ্যালাউড না তা তা এখানে বলা আছে। অফিসের মধ্যে অ্যাপ্লিক্যান্ট ছাড়া অন্য কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। এছাড়া কোন ব্যাগ থাকলেও প্রবেশ এর সময় জমা রাখে। তাই বড় দেখে প্লাস্টিকের ট্রান্সপারেন্ট ফাইলে করে সব ডকুমেন্টস নিয়ে যাওয়া ভাল। অফিসে ঢোকার আগে নিচে সিকিউরিটির থেকে ১টা স্লিপ নিয়ে উপরে উঠতে হবে। উপরে উঠে সিকিউরিটি চেকিং শেষে ডকুমেন্টস জমা নেবার রুম এ বসতে হবে। এসসময় সাময়িক উত্তেজনা ও দুশ্চিন্তার কারনে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব হতে পারে। কাউন্টার থেকে ডাক পরলে সকল ডকুমেন্টস নিয়ে যেতে হবে। সেখান থেকে ওরা পাসপোর্ট সহ ১টা ১টা করে বিভিন্ন ডকুমেন্টস বুঝে নিবে। সাথে দুইটা ফরম পূরন করতে বলবে। আমি যেই বুথে সব কিছু জমা দিয়েছিলাম সেখানে গভ: ল্যাব এর এক ভাইয়া ছিলেন। ভিসা ফরমে আমার স্কুল ল্যাব দেখে স্কুল বিষযে টুকটাক প্রশ্ন করেছিলেন। ল্যাব রকস!
সব ডকুমেন্টস জমা নেয়া শেষে পাশে ভিসা ফি ব্যাংক ড্রাফট করতে পাঠাবে। ব্যাংক ড্রাফটের জন্য সঠিক অ্যামাউন্টের খুচরা (৯৫০০+৮৭৫+২৩০) সাথে রাখা দরকার। সব শেষে ট্র্যকিং নাম্বার সহ ১টা রিসিট দেয়া হবে। রিসিট সযত্নে না রাখলে ঝামেলাহীনভাবে মুড়ির সংস্থান হয়ে যাবে। ভিএফএস এর অফিস খেকে বের হয়ে লম্বা ১টা শ্বাস নিয়ে বাসার দিকে হন্ঠন করা যেতে পারে।

পরবর্তী ধাপ:

বিধি লেফট হ্যান্ডেড না থাকলে ১০ কর্মদিবসের মাঝে ভিএফএস থেকে ফোন পাবার কথা। আমার ক্ষেত্রে ২/৩ দিনের মাঝেই ফোন পেয়েছিলাম। যদি সব ঠিক খাকে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য পাসপোর্ট ফেরত দিবে। অ্যাপ্লিকেশন এর সমং যেসকল মূল কপি জমা দেয়া হয়েছিল সেগুলোও ফেরত দিয়ে দিবে। পরে ওদের রিকমন্ডেড মেডিক্যাল সেন্টার গুলোর যেকোনটা থেকে মেডিক্যাল টেস্ট করতে হবে। আমি বারিধারায় ওয়াহাব মেডিক্যাল সেন্টার থেকে করেছিলাম। ঠিকানা ভিএফএস থেকেই দেয়া ১টা কাগজে লেখা থাকবে। গেলেই ওরা ১টার পরে ১টা টেস্ট করতে থাকে, সাথে কয়েকটা ফরম পূরন করতে হয়। কি কি টেস্ট করতে হবে তার ১টা ধারনা এখান থেকে পাওয়া যাবে, আমি আর লিখলাম না। মেডিক্যাল টেস্টের সময় পাসপোর্ট এবং ২ কপি ছবি নিয়ে যেতে হবে। মেডিক্যাল টেস্টে সম্ভবত ৩০০০/- টাকা লাগে। টেস্টের রিপোর্টে কোন সমস্যা থাকলে মেডিক্যাল সেন্টার খেকেই ফোনে বলে দিবে।
টেস্ট শেষে পাসপোর্ট আর ভিএফএস এর রিসিট নিয়ে আবার ভিএফএস এ যেতে হবে। এইবার অবশ্য নিচে সিকিউরিটির থেকে স্লিপ নেয়া লাগবে না। সবকিছু ঠিক ঠাক থাকলে ২/৩ সপ্তাহ পরে স্টাডি পারমিট পেয়ে যাবার কথা। আমি যেহেতু এখনও আমার আন্ডারগ্র্যাডুয়েট এর সার্টিফিকেট জমা দিতে পারিনি, আমার প্রসেসিং এখনও পেন্ডিং আছে। তাই সঠিক কয়দিন লাগে বলতে পারছিনা।
আপাতত: আর কিছু মনে পড়ছেনা, কিছু বাদ গেলে পরে লিখে দিব। হ্যাপি ভিসা প্রসেসিং ।
===========

Study In Canada – কানাডায় উচ্চশিক্ষা এর যাবতীয় তথ্য

By : RABBY


উচ্চশিক্ষার জন্য তরুণদের অন্যতম পছন্দের দেশ কানাডা। কানাডার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ডিগ্রি যুক্তরাষ্ট্র এবং কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সমতুল্য এবং সারা বিশ্বে কানাডার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নেয়া ডিগ্রিকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। কানাডার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ডিগ্রি বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলোর সাথে তুলনীয় হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি এবং থাকার খরচ যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের তুলনায় কম।
জাতিসংঘের করা সবচেয়ে বাসযোগ্য দেশগুলোর তালিকায় কানাডা সবসময়ই ওপরের দিকে থাকে। দেশটিতে পড়াশোনা করতে আসা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরাও কানাডার নাগরিকদের মত স্বাধীনতা, মানবাধিকার, সমতা ইত্যাদি সুবিধা ভোগ করেন। বিশ্বের প্রায় সব জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব রয়েছে কানাডায়। কাজেই পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে মানুষ সেখানে গিয়ে নিজস্ব খাবার ও সংস্কৃতির সংস্পর্শে থাকতে পারেন আর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের স্টুডেন্ট অ্যাডভাইজরও এ ধরনের বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করেন। কানাডার শিক্ষা কার্যক্রমে ইংরেজি ও ফরাসি এই দুই ভাষা ব্যবহৃত হয়, এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি ভাষাগত দক্ষতাও বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা।
দেশটির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি হলেও স্বায়ত্তশাসিত। কাজেই কোন প্রতিষ্ঠান কোন কোর্স অফার করলে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন কোর্সটি করানোর মত অবকাঠামো তাদের আছে। কানাডার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশ কোর্স একটি প্রাদেশিক বোর্ডের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কোর্সগুলোকে দু’টো লেভেলে ভাগ করা হয়। একটি আন্ডারগ্রাজুয়েট বা ব্যাচেলর ডিগ্রি আর অন্যটি পোস্টগ্রাজুয়েট। মাস্টার্স এবং পিএইচডি’কে পোস্টগ্রাজুয়েট লেভেলের অংশ হিসেবে দেখা হয়।
কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষাবর্ষকে সাধারণত তিনটি সেমিস্টারে ভাগ করা হয়:
১. ফল সেমিস্টার, সেপ্টেম্বর- ডিসেম্বর
২. উইন্টার, জানুয়ারি-এপ্রিল
৩. সামার, মে-আগস্ট
থাকার ব্যবস্থা ও খরচ:
কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় হলের মতই থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে এগুলোকে বলা হয় ডর্ম। ডর্মে থাকা বেশ ব্যয়বহুল হলেও ঝামেলা এড়ানো যায়। তবে ক্যাম্পাসের বাইর বাসা ভাড়া করে শেয়ার করেও থাকা যায়। সেক্ষেত্রে খরচ অনেক কম হবে। আবার শিক্ষার্থীরা ফোন ইন্টারনেট এসব শেয়ার করেও খরচ বেশ অনেকটা কমিয়ে আনতে পারেন। এদিকে কানাডার আলবার্টা প্রদেশসহ অনেক প্রদেশে শিক্ষার্থীরা বিনা পয়সায় বাসে ভ্রমণ করতে পারেন। থাকা খাওয়ার জন্য বছরে ৭ থেকে ১৩ হাজার কানাডিয়ান ডলার প্রয়োজন হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন
কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। সাধারণত একটু ছোট শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে খরচ কম হয়, কিন্তু ছোট শহর হওয়ায় চাকরির সুযোগও কম থাকে।
কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আবার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেয় না। কাজেই স্কলারশিপের আশা করলে এসব বিশ্ববিদ্যালয় এড়িয়ে চলতে হবে।
বৃত্তি বা স্কলারশিপ
আর সব দেশের মত কানাডা সরকারও শিক্ষার্থীদের জন্য নানা ধরনের বৃত্তির ব্যবস্থা করেছে। কিছু বৃত্তি কেবল কানাডার নাগরিকদের জন্য আবার কিছু বৃত্তির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদেরও আবেদন করার সুযোগ থাকে। তবে আন্তর্জাতিক বৃত্তি হলেও সেখানে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন সেটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। কিছু বৃত্তি কেবল ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোর জন্য, কিছু বৃত্তি ক্যারিবীয় দেশগুলো জন্য আবার কিছু বৃত্তির ক্ষেত্রে সবদেশের শিক্ষার্থীদেরই আবেদন করার সুযোগ দেয়া হয়। কিছু কিছু বৃত্তি আবার কানাডা এবং কানাডার বাইরের সবদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য। কাজেই কানাডায় পড়াশোনার জন্য বৃত্তি পাওয়ার আশা করলে খোঁজখবর নিয়ে ছোটখাটো গবেষণাই করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও মাথায় রাখতে হবে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে কি ধরনের বৃত্তির সুবিধা আছে। বলাবাহুল্য এসব বৃত্তির জন্য বেশ প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়তে হয়। কানাডায় পড়াশোনার জন্য বৃত্তি সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে এই সাইটটিতে: http://scholarships.gc.ca
কানাডায় পড়াশোনার জন্য বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যেসব বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারেন:
Program
Managed / Funded by
Banting Postdoctoral FellowshipsGovernment of Canada
CIFAR Global ScholarsCanadian Institute for Advanced Research (CIFAR)
CIHR FellowshipCanadian Institutes of Health Research
IDRC Doctoral Research AwardsInternational Development Research Centre (IDRC)
IDRC Research AwardsInternational Development Research Centre (IDRC)
Industrial Postgraduate Scholarships ProgramNatural Sciences and Engineering Research Council of Canada (NSERC)
Industrial Research and Development Internship (IRDI) ProgramNetworks of Centres of Excellence of Canada
Mitacs ElevateMitacs
Mitacs StepMitacs
Mitacs-AccelerateMitacs
Research Associate ProgramNational Research Council Canada
Sauvé Scholars ProgramJeanne Sauvé Youth Fondation
Strategic Training Initiative in Health Research (STIHR)Canadian Institutes of Health Research
The Bentley Cropping Systems FellowshipInternational Development Research Centre (IDRC)
Trudeau FellowshipsTrudeau Foundation
Trudeau ScholarshipsTrudeau Foundation
Vanier Canada Graduate ScholarshipsGovernment of Canada
Visiting Fellowships in Canadian Government Laboratories ProgramNatural Sciences and Engineering Research Council of Canada (NSERC)

যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করবেন:
  • সরাসরি প্রতিষ্ঠানের এডমিশন অফিসে বিস্তারিত তথ্যের জন্য মেইল করুন,
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকেও আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে পারেন,
  • কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে,
  • এডমিশন অফিস থেকেই আপনি প্রয়োজনীয় সব তথ্য যেমন: প্রয়োজনীয় দলিলপত্রাদি, ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইত্যাদি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন,
  • ভর্তি প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সাধারণত ১ বছর সময় হাতে রেখে শুরু করতে হয়,
  • সাধারণত আবেদন করার সময়সীমা শেষ হওয়ার ৬-৮ মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হয়।
বিভিন্ন প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার শিক্ষাগত, ভাষাগত ও অন্যান্য যোগ্যতা:
কোর্সের নাম
প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা
ভাষাগত দক্ষতা
অন্যান্য যোগ্যতা
মেয়াদ
ব্যাচেলর ডিগ্রীকমপক্ষে ১২ বৎসর মেয়াদী শিক্ষাকমপক্ষে ৬-৬.৫  আইইএলটিএস স্কোরস্যাট-II কিছু ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক৩ থেকে ৪ বৎসর পূর্ণকালীন স্টাডি
মাস্টার্স ডিগ্রীকমপক্ষে ১৬ বৎসর মেয়াদী শিক্ষাকমপক্ষে ৬-৬.৫  আইইএলটিএস স্কোরকিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে GRE, GMAT ইত্যাদির প্রয়োজন হয়।১ বৎসর মেয়াদী পূর্ণকালীন স্টাডি

Ph.D. ডিগ্রীর ক্ষেত্রে ৩ বৎসর পূর্ণকালীন গবেষণা করতে হয়।

যেসব বিষয়ে পড়তে পারেন:
  • কম্পিউটার সাইন্স
  • ফুড সাইন্স
  • বায়োলজি
  • রসায়ন
  • ইলেকট্রনিক্স
  • মেডিকেল সাইন্স
  • ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট
  • কৃষি অর্থনীতি
  • সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • ইতিহাস ও ধর্ম
  • ইংরেজি সাহিত্য প্রভৃতি

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
কানাডায় কোন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে হলে একজন শিক্ষার্থীকে নিম্নলিখিত কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করতে হবে:
  • পূরণকৃত আবেদন ফরম
  • মানি অর্ডার/আবেদন ফি জমা দেয়ার রশিদ
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও মার্কশীটের ফটোকপির ইংরেজি ভার্সন
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র
  • টোফেল বা আইইএলটিএস এর স্কোর শীট
  • স্যাট, জিআরই, জি ম্যাট, (চাহিদা সাপেক্ষে) এর স্কোর শীট
  • আর্থিক সচ্ছলতার নিশ্চয়তাপত্র (স্পন্সর এর পক্ষ থেকে)
  • পাসপোর্টের ফটোকপি

শিক্ষা ব্যয়:
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যয়ের পরিমাণ বিভিন্ন। তবে গড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে ৬ হাজার কানাডিয়ান ডলার থেকে ১৭,০০০ ডলার পর্যন্ত ব্যয় হয়ে থাকে। আর গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে ৬,০০০ থেকে ৩০,০০০ ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

জীবনযাত্রার ব্যয়:
একজন শিক্ষার্থীর সারা বছরের থাকা খাওয়া ও অন্যান্য খরচের জন্য প্রায় ১১,০০০ থেকে ১৪,০০০ ডলার প্রয়োজন হয়।

কাজ করার সুযোগ:
কানাডায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার বাইরে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজের অনুমতি পেয়ে থাকে যা তাদের স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ পর্যন্ত কার্যকর থাকে।

যেসব ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীর কাজ করার সুযোগ রয়েছে সেগুলো হচ্ছে:
  • লাইব্রেরী এ্যাসিস্ট্যান্ট
  • হাউজ কিপিং এ্যাটেনড্যান্ট
  • সার্ভিস ম্যানেজার
  • হেয়ার ড্রেসার
  • বীচ লাইফ গার্ড
  • সিকিউরিটি গার্ড
  • রিটেইল ক্যানভাসর
  • একাউন্ট্যান্ট
  • ফ্রুট প্যাকিং ইত্যাদি
কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশের ছাত্র সংগঠন:
পারস্পরিক যোগাযোগ রক্ষা ও সহযোগিতার জন্য কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের  বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন গড়ে উঠেছে। এরকম কয়েকটি ছাত্র সংগঠন:
পড়াশোনা শেষে কানাডা থেকে যাওয়া বা ইমিগ্রেশন
কানাডার নিয়মানুযায়ী সেখানে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে এবং কানাডার কারো প্রমাণপত্র পেলে পড়াশোনা শেষে কানাডা থেকে যাওয়ার সুযোগও পেতে পারেন শিক্ষার্থীরা

- Copyright © RABBY - Date A Live - Powered by Blogger - Designed by Johanes Djogan -