Archive for 2016-09-18
১০ দিনে ৩৭তম প্রিলিতে পাস করতে পড়ুন
By : RABBY
এই লেখাটি আপনার কাজে লাগবে। তাই লিখলাম। যেদিন থেকে আর কাজের লেখা লিখতে পারব না, সেদিন থেকে আর লিখব না। কথা দিলাম। আপাতত এই বন্ধুটির অত্যাচার মেনে নিন।
একটা বিনীত অনুরোধ। বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতিকৌশল নিয়ে আমাকে ফোনে কিংবা ইনবক্সে দয়া করে নক করবেন না। আমি খুবই বিরক্ত হই। কারণ, এই বিষয় নিয়ে আমার চাইতে বেশি কেউ লিখেছেন, কিংবা কাজ করেছেন বলে আমার জানা নেই। সেসব লেখা কষ্ট করে আমার নোটস্ থেকে খুঁজে বের করে পড়ে নেবেন। ওসব লেখায় যা বলেছি, এর বাইরে আর কিছুই আমি জানি না, বুঝি না। যদি আপনার হাতে সময় থাকে, ইউটিউবে আমার ক্যারিয়ার আড্ডার ভিডিওগুলি দেখে নেবেন, নিশ্চয়ই উপকৃত হবেন। এর বাইরে আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে দেয়ার মতো সময় আমার নেই। আমার অক্ষমতাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
একটা বিনীত অনুরোধ। বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতিকৌশল নিয়ে আমাকে ফোনে কিংবা ইনবক্সে দয়া করে নক করবেন না। আমি খুবই বিরক্ত হই। কারণ, এই বিষয় নিয়ে আমার চাইতে বেশি কেউ লিখেছেন, কিংবা কাজ করেছেন বলে আমার জানা নেই। সেসব লেখা কষ্ট করে আমার নোটস্ থেকে খুঁজে বের করে পড়ে নেবেন। ওসব লেখায় যা বলেছি, এর বাইরে আর কিছুই আমি জানি না, বুঝি না। যদি আপনার হাতে সময় থাকে, ইউটিউবে আমার ক্যারিয়ার আড্ডার ভিডিওগুলি দেখে নেবেন, নিশ্চয়ই উপকৃত হবেন। এর বাইরে আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে দেয়ার মতো সময় আমার নেই। আমার অক্ষমতাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
৩০ তারিখ পরীক্ষা। গুনেগুনে হাতে আর ১০ দিন। আগে যা-ই পড়ে থাকুন, কিংবা না থাকুন না কেন, যদি এ সময়ে একেবারে জিরো থেকে প্রিপারেশন নেয়া শুরু করেন, তাহলে কি আপনার পক্ষে প্রিলি পাস করে রিটেনের পাসপোর্ট পাওয়া সম্ভব? এটা অনেকটাই নির্ভর করে তিনটি ফ্যাক্টরের উপর।
এক। আপনার আত্মবিশ্বাস।
দুই। আপনার বেসিক নলেজ।
তিন। আপনার প্রচণ্ড পরিশ্রম করার মানসিকতা।
একটু ভেঙে বলছি।
প্রথমটি। যারা পরীক্ষায় ভাল করে, তাদের ভাল রেজাল্টের জন্য যতটা না প্রস্তুতির ভূমিকা, তার চাইতে অনেকবেশি ভূমিকা ‘আমি অবশ্যই পারবো’ এই মাইন্ড সেটআপের। যেকোনো প্রতিযোগিতায়ই বিজয়ী আর পরাজিতের মধ্যে মূল পার্থক্যটা তৈরি করে দেয় আত্মবিশ্বাস। বলতে পারেন, যারা আগে তেমনকিছু পড়েননি, তারাও কেন আত্মবিশ্বাসী থাকবেন? থাকবেন, কারণ ভাল প্রস্তুতি নিলেই যেমন প্রিলিপাস করা যায় না, ঠিক তেমনি খারাপ প্রস্তুতি নিলেই প্রিলিফেইল করা যায় না। আসলে, ভাল প্রস্তুতি খারাপ প্রস্তুতি বলে কিছু নেই। যা আছে, তা হলো, পরীক্ষা ভাল দেয়া, কিংবা খারাপ দেয়া। লোকে পারে তখনই যখন সে মন থেকে বিশ্বাস করে, সে ওই কাজটি পারে। এ বিশ্বাসের পরিমাণ যার যত বেশি, তার পারফরম্যান্স তত বেশি ভাল। জানি, এই সময়টাতে, সাফল্যের জন্য আত্মবিশ্বাস জরুরি, নাকি, আত্মবিশ্বাসী হওয়ার জন্য আগে সফল হওয়াটা জরুরি—এই ধন্দে আছেন। সবাইই থাকে। আপনি ব্যতিক্রম কিছু নন। তবে এর মধ্যেও যে নিজেকে অসীম ধৈর্যে ধরে রাখতে পারে, সে-ই ব্যতিক্রম, সে-ই নিশ্চিতভাবে এগিয়ে যাবে।
দ্বিতীয়টি। আপনি যে যে বিষয় ভাল পারেন আগে থেকেই, সেগুলিকে আপনি প্রিলিপাস করার মূল অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করুন। আমি আমারটা বলি। যদি এই লেখাটি যখন লিখছি, ঠিক সে মুহূর্তেও প্রিলি পরীক্ষা দিতে বসি, প্রশ্ন যেমনই হোক না কেন, আমি পাস করবোই। আগের বাক্যে ক্রিয়া পদের সাথে ‘-ই’ প্রত্যয় যোগ করে দিয়েছি প্রত্যয়ের সাথে। কেন? কোন অসীম আত্মবিশ্বাসে? বলছি। আমি যেকোনো পরীক্ষায় বসার আগেই ঠিক করে নিই, আমার তুরুপের তাস কোনটা কোনটা। প্রিলির কথা যদি ধরি, তাহলে আমি যা যা করবো, বলছি। গাণিতিক যুক্তি যে কয়টি প্রশ্ন আসবে, তার সবকটারই সঠিক উত্তর করতে পারবো (বড়োজোর ১টা ভুল হতে পারে)। মানসিক দক্ষতায় ভুল হবে বড়োজোর ৩-৪টা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অংশে ভুল হবে হয়তো ৪-৫টা। ইংরেজিতে ৮০% নম্বর পাওয়ার কথা। বাংলায় অন্তত ৬৫%। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে ৩৫% তো রামছাগলও পাবে। গতানুগতিক ধাঁচের প্রশ্ন হলে মোটামুটি এরকমই হবে মনে হয়। প্রশ্ন কঠিন হলেও কোনো অসুবিধে নেই। সে ক্ষেত্রে তো কাটমার্কসও কমে আসবে। এইতো! প্রিলিতে পাস করে ফেলার কথা তো এভাবে পরীক্ষা দিলে, তাই না? আপনার হাতে যে কদিন আছে সামনে, সে কদিনে আপনি যে ৪টি সেগমেন্ট ভাল পারেন, সেগুলিতে বেশি এফর্ট দিন। সবসময়ই মাথায় রাখবেন, অনলি ইয়োর রেজাল্ট ইজ রিওয়ার্ডেড, নট ইয়োর এফর্টস্। তাই এফর্ট দেবেন অবশ্যই অবশ্যই রেজাল্ট-ওরিয়েন্টেড উপায়ে।
তৃতীয়টি। আপনাকে এ কদিন অমানুষিক পরিশ্রম করতে হবে। যদি চাকরিটা সত্যিই আপনার প্রয়োজন হয়, তবে আপনি এ কদিন দৈনিক ১৭ ঘণ্টা করে পরিশ্রম করতে পারবেন। কলকাতার অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রশংসাসূচক যা-ই কিছু বলি না কেন, কম বলা হয়ে যাবে। উনি যদি অভিনয় শিল্প আর লেখার প্রতি প্যাশন থেকে এই ৮১ বছর বয়সে দৈনিক ৮-৯ ঘণ্টা শুটিং করার পর আবার ৪-৫ ঘণ্টা লেখালেখি করতে পারেন, তবে আপনি মাত্র ২৭-২৮ বছর বয়সে, তাও মাত্র ১০টা দিন দৈনিক গড়ে ১৭ ঘণ্টা পড়াশোনা করতে পারবেন না? আমাদের প্রাক্তন জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী একজন প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক ছিলেন। ৮৮ বছর বয়সে তিনি মারা যান। মৃত্যুর দিন কিংবা এর আগের দিনও (আমার ঠিক মনে নেই) তিনি ৩০ পৃষ্ঠা অনুবাদ করেছিলেন। খ্যাতনামা বাঙালি মননশীল লেখক ও বিশিষ্ট চিন্তাবিদ নীরদচন্দ্র চৌধুরীর শেষ বই ‘থ্রী হর্সম্যান অব দ্য নিউ এপোক্যালিপস’ যখন প্রকাশিত হয়, তখন তাঁর বয়স ৯৯ বছর। জীবদ্দশায় উনি বই পড়েছিলেন প্রায় ১০ হাজার। জীবনে অতি পরিশ্রমের কারণে তাঁর যে ক্ষতিটি হয়েছিল, তা হলো, উনি উনার ১০২তম জন্মদিনের দু’মাস পূর্বে ‘অকালপ্রয়াত’ হয়েছিলেন। তিনটি উদাহরণই বরেণ্য বাঙালির। উনাদের শারীরিক গঠন আপনার আমার চাইতে অনেক মজবুত ছিল না। তবে মানসিক গঠন শতগুণে মজবুত ছিল। চাকরিটা আপনার যত বেশি দরকার, আপনি তত বেশি মানসিকভাবে তৈরি থাকবেন পরিশ্রম করতে, এটা আমি বিশ্বাস করি। মানুষ টায়ার্ড হয় যতটা না শারীরিক কারণে, তার চাইতে অনেকবেশি মানসিক কারণে। কই, পড়াশোনা করতে করতে একেবারেই ক্লান্ত পরিশ্রান্ত আমাকে কেউ যদি শপিং-এ যেতে বলে, ঘুরতে যেতে বলে, ডেটিং-এ যেতে বলে, আমার সকল ক্লান্তি তো এক নিমিষেই পালিয়ে যায়! এটা ফাজলামো ছাড়া আর কী? লাইফের সাথে আপনি যত বেশি ফাজলামো করবেন, লাইফও আপনার সাথে তত বেশি ফাজলামো করবে। মাথায় রাখুন, সামনের ১০ দিনে আপনাকে মোট ১৭০ ঘণ্টা পড়াশোনার পেছনে ফাঁকিবাজি না করে ঠিকভাবে দিতে হবে। আপনি প্রিলিপাস করে যাবেন এটা করতে পারলে, আগে যদি কিছু না পড়েও থাকেন। ব্যস্!
এখন পর্যন্ত আপনার প্রস্তুতি যেরকমই হোক না কেন, সামনের এই ১০টা দিন আপনি যা যা করতে পারেন (আমার ব্যক্তিগত অভিমত অনুসারে), এবং যা যা এড়িয়ে চলতে পারেন, লিখে দিচ্ছি:
এক। বাজারের যেকোনো একটা ভাল মডেল টেস্টের গাইড কিনে প্রতিদিন ৫ সেট করে মডেল টেস্ট দিন। প্রতি সেট প্রশ্নের উত্তর দাগাতে সময় নেবেন বড়োজোর সোয়া এক ঘণ্টা। কারণ, পরীক্ষার হলে আপনাকে বৃত্ত ভরাট করতে হবে, সেটাতে কিছু বাড়তি সময় লাগবে। তাছাড়া পরীক্ষার হলে টেনশনও কাজ করবে, যা আপনার বৃত্ত ভরাটের গতিকে কিছুটা হলেও মন্থর করে দিতে পারে। পরীক্ষার সময় টেনশনে থাকাটা একটা সাধারণ শিষ্টাচার। ব্যাপার না! এই ১০ দিন পারতপক্ষে আপনার পড়ার রুম থেকেই বের হবেন না।
দুই। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কারোর ফোনই রিসিভ করবেন না। কেউ অসুস্থ হলে, কিংবা আপনার একেবারেই কাছের কেউ অতি প্রয়োজনে ফোন করলে রিসিভ করবেন। আপনার প্রেমিকা অন্য কারোর হাত ধরে পালিয়ে যাচ্ছে? যেতে দিন। ও পরে এমনিতেই পালাত। প্রেমিকা পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দর স্বাভাবিক চিরন্তন দৃশ্যগুলির একটি। যত আগে পালায়, ততই মঙ্গল। শুকরিয়া! এ কদিন এসব নিয়ে ভাববার সময় নেই আপনার। কারোর সাথে নিতান্ত জরুরি না হলে দেখা করারও দরকার নেই। ঠিকমতো পড়াশোনা করলে এই সময়টাতে আপনার চাঁদমুখখানা প্যাঁচামুখ হয়ে যাওয়ারই কথা। তাই, মানুষের সামনে গিয়ে ভয় না দেখিয়ে দরোজাজানালা বন্ধ করে পড়াশোনা করলেই তো বেটার, তাই না? আপনার চেহারা খারাপ, তাই বলে তো আর আপনি লোকজনকে ভয় দেখাতে পারেন না! ওটা অন্যায়, চেহারা বাজে হওয়াটা অন্যায় নয়। মোবাইল ফোন, টিভি, ফেসবুক, ইমো, ভাইবার, হোয়াটসআপ এসবকে দিন এই ১০ দিন ছুটি, বেকারত্বের রাজ্যে পৃথিবী যন্ত্রণাময়। নিষ্ঠুর পৃথিবী বেকারদের মিষ্টি রোমান্টিক হাসিও সহ্য করে না।
তিন। ভাল ১টা প্রিলির ডাইজেস্ট পুরোটা খুব দ্রুত পড়ে ফেলুন। বিভিন্ন প্রিলি স্পেশাল সংখ্যা সলভ করুন। আগের বছরের প্রশ্নসমৃদ্ধ প্রিলির প্রশ্নব্যাংক আর ১টা জব সল্যুশন রিভিশন দিন। বলতে পারেন, প্রশ্ন যদি গতানুগতিক ধাঁচের না হয়, তবে? আমি বলি কী, যেহেতু আগে থেকে রেফারেন্স বইটই উল্টেপাল্টে, হাজার হাজার প্রশ্ন সলভ্ করেটরে অনেকবেশি পড়াশোনা করেননি, সেহেতু ফাঁকিবাজির এইটুকু শাস্তি তো মেনে নিতেই হবে। মজার ব্যাপার হলো, মূলত নার্ভাসনেস ফ্যাক্টরের কারণে, পরীক্ষার হলে সবারই মেন্টাল স্টেট কমবেশি একইরকমের থাকে। অর্থাৎ, মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে, আপনি কারোর চাইতেই পিছিয়ে নন। প্রশ্ন সহজ হবে, কী কঠিন হবে, এ নিয়ে ভাবা মানেই স্রেফ সময় নষ্ট করা। প্রশ্ন সহজ বা কঠিন হওয়ার উপর তো আপনার হাত নেই। যেটার উপর আপনার কোনো হাত নেই, সেটা নিয়ে ভেবে ভেবে সময় নষ্ট না করে পড়াশোনা করুন। কঠিন হলে সবার জন্যই কঠিন, সহজ হলে সবার জন্যই সহজ। সবার যে গতি, আপনারও একই গতি। আপনি তো আর বিশেষ কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নন যে, আপনার জন্য আলাদা কোনো কাটমার্কস হিসেব করা হবে।
চার। বিষয় ধরে ধরে নয়, প্রশ্নের সেট ধরে ধরে পড়ুন। কীরকম? ধরুন, আপনি বাংলা পড়বেন। ঠিক আছে, পড়ুন। কিন্তু শুধু বাংলাই পড়তে থাকার মতো সময় এখন আর নেই। এতে কোনো না কোনো বিষয়ের উপর কম জোর দেয়া হয়ে যেতে পারে। আপনি এই সময়টাতে জব সল্যুশন, প্রিলি ডাইজেস্ট, আর প্রশ্ন ব্যাংকের পূর্ণাঙ্গ প্রশ্নের সেট ধরে ধরে যত বেশি সংখ্যক সম্ভব, তত বেশি সংখ্যক প্রশ্নের সেট পড়ে ফেলুন। আলোচনা অংশ পড়বেন না। দরকার নেই। বেশি বেশি প্রশ্নের সেট পড়ে ফেললে, আপনি দেখবেন, কিছু কিছু প্রশ্ন বারবার আসে। সেগুলি বারবার দেখতে দেখতে মাথায় সেগুলির একটা ফটোকপি তৈরি হয়ে যায় আপনাআপনিই। কোনো বিষয়ের উপর আলাদা করে সময় দেয়ার দরকার নেই। কেউ যদি ওটা করেন, তবে আপনি সুষম প্রস্তুতি নিতে পারবেন না।
পাঁচ। সাধারণ জ্ঞানে জোর দিন সবচাইতে কম। যদি কমন প্রশ্ন আসে, এমনিতেই পারবেন। যদি একেবারে উদ্ভট আনকমন প্রশ্ন আসে, যতই প্রস্তুতি নিন না কেন, পারবেন না। অথচ, ম্যাথস্, গ্রামার সহ আরও কিছু টপিক আছে, যেগুলিতে বেসিক ভাল হলে, প্রশ্ন কঠিন হলেও সঠিক উত্তর করা সম্ভব। এই ১০ দিনে পেপার পড়ার আর খবর শোনার কোনো দরকার নাই। পৃথিবীতে প্রলয় ঘটে গেলে কোনো না কোনোভাবে এমনিতেই জানতে পারবেন। ঐশ্বরিয়া কেন এ বয়সেও আবেদনময়ী, সে প্রশ্নের রগরগে উত্তর জেনে জ্বালা বাড়ানোর সময় প্রিলিটা শেষ হয়ে গেলে যথেষ্টই পাবেন। আপাতত অফ যান!
ছয়। ৬.১। যে প্রশ্নগুলি বেশিই কঠিন, বারবার পড়লেও মনে থাকে না, সেগুলিকে নিজগুণে ক্ষমা করে দিন। সহজ প্রশ্ন মাথায় সুন্দর, কঠিন প্রশ্ন বইয়ে। একটা অতি কঠিন প্রশ্ন মনে রাখার চেষ্টা ৫টা সহজ প্রশ্নকে মাথা থেকে বের করে দেয়। মার্কস তো একই, কী দরকার? ১ নম্বরের মোহে ৫ কিংবা ৭.৫ নম্বর হারানোর বিলাসিতা করার সময় এখন নয়। ৬.২। কনফিউজিং প্রশ্ন দাগাবেন কিনা? এর উত্তরটা একটু ঘুরিয়ে দিই। ৮টা কনফিউজিং প্রশ্ন ছেড়ে এসে শূন্য পাওয়ার চাইতে ৮টাই দাগিয়ে অর্ধেক ভুল করে ২ পাওয়া তো ভাল, তাই না? কনফিউজিং প্রশ্ন দেয়াই হয় আপনার বৃত্ত ভরাট করার গতিকে শ্লথ করে দেয়ার জন্য। ৬.৩। যে প্রশ্নগুলি ভুল থাকে, সেগুলি দাগালেও নম্বর পাবেন, না দাগালেও নম্বর পাবেন। পিএসসি সেগুলি বাদ দিয়ে খাতা দেখে, মানে সেগুলিতে সবাইকেই অ্যাভারেজ নম্বর দিয়ে দেয় বলেই জানি। ৬.৪। কিছু প্রশ্নের একাধিক উত্তর থাকে। সেগুলিতে কী করবেন? যেকোনো একটা সঠিক উত্তর দাগালেই নম্বর পাবেন। ভুল উত্তর কিংবা একাধিক উত্তর আছে, এমন প্রশ্ন পিএসসি কেন দেয়? ওরা অসতর্ক দায়িত্বজ্ঞানহীন উদাসীন বলে? কোনোভাবেই না! এগুলি দেয়াই হয় ইচ্ছে করে, আপনাকে কনফিউসড আর নার্ভাস করে দেয়ার জন্য। আপনি কনফিউসড আর নার্ভাস হয়ে যাওয়ার মানেই হলো, আপনার কনফিডেন্স কমে যাওয়া। আর এর মানেই হলো, ওই ২ ঘণ্টা আপনার নয়! প্র্যাকটিস তো সবাইই করে, কিন্তু ফিল্ডে থাকার সময়টা অন্য কারোর হয় না, টেন্ডুলকারের হয়। কেন? প্রিপারেশনের জন্য? স্কিলের জন্য? না। কনফিডেন্স আর টেকনিকের জন্য। ফিল্ডে সেই রাজা, যে রাজার মতো খেলতে পারে। ওরকম করে খেলতে হলে রাজার হৃদয়ের দরকার হয়।
সাত। কে কী পড়ছে, কী কী প্রশ্ন পড়া উচিত, এসব ফালতু খবর নেয়ার দরকার নাই। আপনি এই ১০দিনে বিসিএস নিয়ে কারোর সাথেই একটি কথাও বলবেন না। কে কী করছে, তাতে আপনার কী? দিনশেষে আপনার সকল সফলতা আর ব্যর্থতার দায়ভার সম্পূর্ণই আপনার নিজের। লাইফটা ডেসটিনি কোম্পানি না, লাইফ ‘টুগেদার উই বিল্ড আওয়ার ড্রিম’ নীতিতে চলে না। সাকসেস ইজ অ্যা সেলফিশ গেইম, সো ইজ ফেইলিয়্যুর। আপনি যা পারেন, আপনার ভালোর জন্যই পারেন; যা পারেন না, আপনার ভালোর জন্যই পারেন না। আপনার একটা ৫ দরকার; সেটা আড়াইয়ে আড়াইয়ে হোক, দুইয়ে তিনে হোক, তিনে দুইয়ে হোক, একে চারে হোক, চারে একে হোক, শূন্যে পাঁচে হোক, আর পাঁচে শূন্যতেই হোক, যেভাবেই হোক না কেন, হলেই তো হলো। কীভাবে হলো, সেটার রহস্য আপনার না জানলেও চলবে। বিশ্বাস রাখুন, আপনার প্রয়োজনীয় সংখ্যাটি আপনি পাবেনই। সেটার জন্য কারোর মুখাপেক্ষী আপনাকে হতে হবে না।
আট। বেশিরভাগ সময়ই, কোচিং সেন্টার, ক্যাম্পাস-লাইব্রেরি আর মুখেমুখে হিরো, পরীক্ষার হলে জিরো। যুদ্ধের আগে হিরো হয়ে কী লাভ? যুদ্ধে আর যুদ্ধের পর যেন হিরো হতে পারেন, সে প্রস্তুতি নিন। যারা পরীক্ষার আগেই বেশি পকপক করে, তারা পরীক্ষার রেজাল্ট বের হওয়ার পর পালিয়ে মুখ লুকানোরও জায়গা খুঁজে পায় না। রেজাল্ট সবসময়ই খেলার শেষে, আগে নয়!
নয়। ২৯ তারিখ রাত ৮টার পর থেকে আর না পড়লেই ভাল। সেসময় হাল্কা কিছুতে, যা আপনার ভাল লাগে, ডুব দিন। সফট ইন্সট্রুমেন্টাল, মুভি, মিউজিক, যা-ই হোক। পরেরদিনের জন্য পরীক্ষার হলের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখুন। রাতে হাল্কা খাবার খেয়ে ১০টার মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়ুন। অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমাবেন। রাতে কম ঘুমালে পরেরদিন পরীক্ষা খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা খুব খুব বেশি।
দশ। পরদিন সকালে উঠে কিছুক্ষণ প্রার্থনা করুন। এরপর ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট করে (বেশি খাবেন না, এতে উচ্চশিক্ষার্থে কিংবা হুদাই কোনো কারণ ছাড়া বাথরুমে যেতে ইচ্ছে করতে পারে। পরীক্ষার চলাকালীন বাথরুমে যায় দুই ধরনের মানুষ। এক। বেকুবরা, টয়লেটের এবং এর আশেপাশের নৈসর্গিক দৃশ্য অবলোকন করতে। দুই। অসহায়রা, যাদের আসলেই বাথরুম পেয়েছে।) হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে (কোনো বইপত্র নিয়ে নয়) হলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে যান। বাসা থেকে বের হওয়ার আগে আরও একবার দেখে নিন, প্রয়োজনীয় সবকিছু সাথে নিয়েছেন কিনা।
এগারো। উত্তরপত্রে সেট কোড সহ অন্যান্য তথ্য ঠিকভাবে ঠাণ্ডামাথায় পূরণ করুন। এটা ভুল হলে সব শেষ।
বারো। আপনি যে অংশটি সবচাইতে ভাল পারেন, সেটি আগে উত্তর করা শুরু করবেন। তবে এক্ষেত্রে কত নম্বর প্রশ্নের উত্তর করছেন আর কত নম্বর উত্তরের বৃত্তটি ভরাট করছেন, সেটি খুব সতর্কভাবে মিলিয়ে নেবেন। সব প্রশ্নই উত্তর করার জন্য নয়। লোভে পাপ, পাপে নেগেটিভ মার্কস। সাধারণত যেকোনো বিষয় নিয়ে ২য় ভাববার সময় আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। প্রথম দেখায় যে প্রশ্নগুলির উত্তর পারেন না মনে হবে, সেগুলি মার্ক করে পরেরটায় চলে যাবেন। পরীক্ষার হল গবেষণাগার নয়। সময় নষ্ট করার সময় নেই।
তেরো। বৃত্ত ভরাট করতে করতে ক্লান্ত? একটু ব্রেক নিন। চাকরিটা পেয়ে গেলে আপনার জীবনটা কীভাবে বদলে যাবে, কাছের মানুষগুলির হাসিখুশি মুখগুলি একবার কল্পনায় আনুন; ক্লান্তি কেটে যাবে। পরীক্ষার হলে যে ভাবনাটা সবচাইতে বেশি ম্যাজিকের মতো কাজ করে, সেটি হল ‘আই অ্যাম দ্য বেস্ট’ ভাবনা। আপনার চাইতে ভাল পরীক্ষা কেউই দিচ্ছে না, এটা বিশ্বাস করে পরীক্ষা দিন। অন্যকিছু মাথায় আনলে আপনার ক্ষতি ছাড়া লাভ কিছুই হবে না।
চৌদ্দ। কয়টা দাগালে পাস, এমন কোন নিয়ম নেই। আপনি যেগুলি পারেন, সেগুলির উত্তর করবেন। কোন প্রশ্নেই বেশি গুরুত্ব দেবেন না। সহজ কঠিন সব প্রশ্নেই ১ নম্বর। আপনার আশেপাশে কে কয়টা দাগাচ্ছে, কোনটা দাগাচ্ছে, সেদিকে তাকাবেন না। এতে আপনি ১ নম্বরের লোভে বেশ কিছু জানা প্রশ্ন ভুল দাগাতে পারেন। কারোর দিকেই না তাকিয়ে আপনি নিজে যা পারেন, তা-ই উত্তর করুন। অবশ্য, আপনি না তাকালেও আপনার অজানা কিছু প্রশ্নের উত্তর গায়েবি হাওয়ায় ভেসে ভেসে প্রবেশ করবে কানের গহীনে। সেগুলিকে গ্রহণ করবেন, কী বর্জন করবেন, সে সিদ্ধান্ত ওই মুহূর্তের আইকিউই বলে দেবে।
সামনের ১০ দিনে আপনার জীবনের অন্তত ৩০ বছরের ইতিহাস লেখা হয়ে যেতে পারে। সে ইতিহাস আনন্দের, নাকি বেদনার, সেটা নির্ধারণ করার ৯৫% ক্ষমতাই এই মুহূর্তে আপনার হাতে। আপনি সেটাকে কীভাবে কাজে লাগাবেন, কিংবা কাজে লাগাবেন না, সেটা পুরোপুরিই আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি শুধু আমার নিজের মতামত বললাম এতক্ষণ। জীবনটা আপনার, সে জীবনটা কাটানোর কায়দাও আপনিই ঠিক করবেন। যত বড় বিসিএস পণ্ডিতই হোক না কেন, পরীক্ষার হলে পরিবেশ, মানসিক অবস্থা, এবং আরও কিছু পারিপার্শ্বিক কারণে উনার এবং অন্য সবার লেভেলই মোটামুটি একই জায়গায় থাকে। পরীক্ষা শুরুর ঘণ্টা বাজবে, আপনিও জিরো থেকে শুরু করবেন, বাকিরাও জিরো থেকে শুরু করবেন। কেউই কারোর চাইতে কোনো অংশে কম না! সেই জিরোকে ২ ঘণ্টায় কে কতদূর নিয়ে যেতে পারে, তা দিয়েই ঠিক হয়ে যাবে, কে জিতবে, কে ছিটকে পড়বে!
যুদ্ধে নামুন, দেখা হবে! অপেক্ষায় রইলাম।
সুশান্ত পাল
আপনাদের সিনিয়র সহকর্মী
কথাগুলো পড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস পাই...
By : RABBY
একজন কয়েদীর কথা জানি। কয়েদী নাম্বার ৪৬৬৬৪।
২৭ বছর জেলে থাকার পরেও উনি নোবেল শান্তি পুরষ্কার জিতেছেন।
- তিনি নেলসন মেন্ডেলা।
:
আরেক পিতৃপরিচয়হীন যুবকের কথা জানি।
থাকার কোনো রুম ছিল না তার, বন্ধুদের রুমের ফ্লোরে ঘুমাতেন। ব্যবহৃত কোকের বোতল ফেরত দিয়ে পাঁচ সেন্ট করে কামাই করতেন, যেটা দিয়ে খাবার কিনতেন। প্রতি রোববার রাতে তিনি সাত মাইল হেঁটে হরেকৃষ্ণ মন্দিরে যেতেন শুধু একবেলা ভালো খাবার খাওয়ার জন্য।
- তিনি অ্যাপল এবং পিক্সার অ্যানিমেশন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও- স্টিভ জবস।
:
আরেক যুবকের নাম জানি, মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম। তাঁকে বলা হয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে সফল ড্রপ আউট। স্যাট পরীক্ষায় ১৬০০ নম্বরে ১৫৯০ পান তিনি।
কিন্তু কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরির নেশায় তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাম কাটান। ড্রপ আউট হওয়ার ৩২ বছর পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন তিনি।
- তিনি বিল গেটস।
:
আরেক এতিমের কথা জানি।
১১ বছর বয়সে এতিম হন। ১২ বছর বয়সে ঘর থেকে পালিয়ে যান। হতাশ হয়ে ১৯ বছর বয়সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। অনেক বিখ্যাত বইয়ের লেখন তিনি তার মধ্যে “আমার বিশ্ববিদ্যালয়” একটি, যদিও তিনি কোন দিন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করা সুযোগ পান নাই।
- তিনি বিখ্যাত লেখক, নাট্যকার আর রাজনীতিবিদ মাক্সিম গোর্কি।
:
আরেকজন, বাবার সাথে মুদি দোকান করতো। পরিবারের এতই অভাব ছিলো যে- স্কুল নাগাত পড়েই তাকে থেমে যেতে হয়েছিলো। সেই ব্যাক্তিই একসময় হয়ে উঠে বিরাট বিপ্লবী নেতা।
- তিনি চীনের প্রতিষ্ঠাতা মাও সেতুং।
:
অভাবের তাড়ানায় কুলিগিরি করতো। একদিন বাসের কন্ডাক্টরের কাজের জন্য গেলে তাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। যে যুবকটি অংকে পারদর্শী নয় বলে বাসের কন্ডাক্টর হতে পারেনি, পরবর্তীতে সে-ই হয় ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী। - - নাম জন মেজর।
:
আরেক ছেলের, বাবা-মা এতই গরিব ছিলো যে, তার জন্মের পর নাম রেজিস্ট্রি করতেই দু’দিন দেরি হয়। কে জানেন?
সে-ই আজকের ফুটবল কিংবদন্তী!
- নাম রোনাল্ডো।
:
বাবা ছিলো জেলে। ছেলেকে সাথে করে বাবা মাছ ধরতো কারন অন্য স্বাভাবিক আর ১০ জন থেকে তিনি পানির নিচে মাছকে খুব ভাল ভাবে দেখতে পেতেন।
- সেই জেলের ছেলে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট সুপারস্টার জয়সুরিয়া।
:
পড়ালেখায় মারাত্মক দুর্বল ছিলেন তিনি। কোন কিছু মনে থাকত না। ক্লাস এর শেষ বেঞ্চে বসে থাকেন। ফেল করেছেন বারবার। ক্লার্ক এর চাকরিও করছেন তিনি। পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছেন তিনি তার থিউরি অফ রিলিটিবিটি দিয়ে। নোবেল ও জিতেছেন তিনি।
- তার নাম আলবার্ট আইনস্টাইন!
:
ক্লাস এর সবচেয়ে দুর্বল ছাত্র ছিলেন তিনি। স্কুল থেকে বহিস্কারও করা হয়েছে তাকে। পৃথিবী তিনি আলোকিত করেছেন তার আবিষ্কার দিয়ে।
- তার নাম টমাস আলভা এডিসন।
:
উল্টা লিখতেন তিনি শব্দগুলোকে। পড়ালেখায় একদন শুন্য। উড়োজাহাজ আবিস্কারের ৪০০ বছর আগে তিনি উড়োজাহাজের মডেল এঁকে গেছেন।
- তিনি লিওনার্ড ডা ভিঞ্ছি।
:
পরীক্ষায় তিনি সব সময় ফেল। ২২ টা একাডেমিক পুরষ্কার জিতেছেন জিব্বদশায়। তিনি মিকি মাউস, ডোনাল্ড ডাক এর জন্মদাতা। মিকি মউসের গলার স্বর তার নিজের দেওয়া।
- তিনি ওয়াল্ট ডিসনি।
:
শব্দের খেলা তিনি বুজতেন না। 7 নাম্বার কে তিনি বলতেন উল্টা নাক!!!! এই স্প্যানিশ ভদ্রলোক একজন কবি, লেখক, পেইন্টার, কেমিস্ট, স্টেজ ডিজাইনার, ভাস্কর।
- তিনি পাবলো পিকাসো।
... ... ...
পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষই ইউনিক, তার ভাবনাগুলি তার মতই। সবাই যা পারে, আমাকেও তা-ই পারতে হবে, এমন কিছুতো নয়!!!!
শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিয়ে নিজেকে প্রমান করতে হবে কেন? আমাদের সমস্যাটা ওখানেই। আমাদের প্রত্যেক ঘরে ঘরে Toppers আর Rankers চাই।
সবাইকেই ডাক্তার, ইঙ্গিনিয়ার, ব্যারিস্টার, ম্যাজিস্ট্রেট...... হতেই হবে!!!!
আঙ্গুলকে টেনে লম্বা করতেই হবে, যে ভাবেই হোক......
দরকার হলে আঙ্গুল ভেঙ্গে যাক না কেন!!! একটা কথা মনে রাখ "পৃথিবীতে সবাই জিনিয়াস, কিন্তু আপনি যদি একটি মাছকে তাল গাছ বেয়ে ওঠার ক্ষমতা দিয়ে বিচার করেন, তবে সে সারাজীবন নিজেকে অপদার্থই ভেবে যাবে"
............... আলবার্ট আইনস্টাইন
বিদেশে পড়তে যাওয়ার আগে যা করবেন
By : RABBY
উচ্চশিক্ষার জন্য ভিনদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার ইচ্ছা অনেকেরই থাকে। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা আর প্রস্তুতিকৌশল না জানার কারণে সুযোগ হারান অনেকেই। তাই বিদেশে পড়তে যাওয়ার পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে এই ফিচার।
১. পড়ার বিষয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন
বিদেশে পড়ার আগ্রহ থাকলে এসএসসি/ও-লেভেল পরীক্ষার পর থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করা উচিত। সে ক্ষেত্রে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, কোন বিষয়ে পড়তে আগ্রহী, তা ঠিক করে নেওয়া জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইটে ভর্তিসংক্রান্ত সব তথ্য সহজ ভাষায় লেখা থাকে। তাই ইন্টারনেটের মাধ্যমে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা নির্ধারণ করে ফেলা গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
বিদেশে পড়ার আগ্রহ থাকলে এসএসসি/ও-লেভেল পরীক্ষার পর থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করা উচিত। সে ক্ষেত্রে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, কোন বিষয়ে পড়তে আগ্রহী, তা ঠিক করে নেওয়া জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইটে ভর্তিসংক্রান্ত সব তথ্য সহজ ভাষায় লেখা থাকে। তাই ইন্টারনেটের মাধ্যমে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা নির্ধারণ করে ফেলা গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
২. যোগ্যতা প্রমাণের কিছু পরীক্ষা
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য যোগ্যতা যাচাইয়ের কিছু পরীক্ষায় অংশ নিন। এর মধ্যে যেমন রয়েছে জিআরই, জিম্যাট বা ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা প্রমাণের জন্য টোফেল বা আইইএলটিএস। জিআরই বা জিম্যাটে ভালো করলে ভর্তি বা ভর্তির সঙ্গে স্কলারশিপ পেতে সুবিধা হয়। স্নাতক পর্যায়ে বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য যাদের প্রথম পছন্দ যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডা, স্যাট তাঁদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা। প্রধানত, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য আইইএলটিএস অপরিহার্য ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর আমেরিকা, অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও এ পরীক্ষার স্কোর চাইছে। ইউরোপের বেশির ভাগ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আইইএলটিএস চায়।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য যোগ্যতা যাচাইয়ের কিছু পরীক্ষায় অংশ নিন। এর মধ্যে যেমন রয়েছে জিআরই, জিম্যাট বা ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা প্রমাণের জন্য টোফেল বা আইইএলটিএস। জিআরই বা জিম্যাটে ভালো করলে ভর্তি বা ভর্তির সঙ্গে স্কলারশিপ পেতে সুবিধা হয়। স্নাতক পর্যায়ে বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য যাদের প্রথম পছন্দ যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডা, স্যাট তাঁদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা। প্রধানত, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য আইইএলটিএস অপরিহার্য ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর আমেরিকা, অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও এ পরীক্ষার স্কোর চাইছে। ইউরোপের বেশির ভাগ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আইইএলটিএস চায়।
৩. পরীক্ষার প্রস্তুতি
স্যাট পরীক্ষায় গণিত, ক্রিটিক্যাল রিডিং ও রাইটিং বিভাগে পরীক্ষা দিতে হয়। স্যাটে গণিত একটু সহজ হলেও ইংরেজির অংশ কিছুটা কঠিন। ইংরেজিতে ভালো করতে নিয়মিত ইংরেজি অনুশীলন, প্রচুর শব্দ শেখা আর ইংরেজি বই পড়তে হবে। পরীক্ষার নিবন্ধনের জন্য স্যাটের অফিশিয়াল সাইটে নাম নিবন্ধন করে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি জমা দেওয়া যায়।
টোফেলের সব তথ্য অনলাইনেই পাওয়া যায়। প্রতি মাসেই টোফেল পরীক্ষা দেওয়া যায়। এ পরীক্ষায় চারটি ভাগ আছে: রিডিং, রাইটিং, লিসেনিং ও স্পিকিং।
বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিল ও আইডিপির আয়োজনে আইইএলটিএস পরীক্ষা দেওয়া যায়। প্রতি মাসে সাধারণত তিনবার পরীক্ষা নেওয়া হয়। ওয়েবসাইটে অথবা ফোন করে পরীক্ষার তারিখ জেনে নিতে পারেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়।
স্যাট পরীক্ষায় গণিত, ক্রিটিক্যাল রিডিং ও রাইটিং বিভাগে পরীক্ষা দিতে হয়। স্যাটে গণিত একটু সহজ হলেও ইংরেজির অংশ কিছুটা কঠিন। ইংরেজিতে ভালো করতে নিয়মিত ইংরেজি অনুশীলন, প্রচুর শব্দ শেখা আর ইংরেজি বই পড়তে হবে। পরীক্ষার নিবন্ধনের জন্য স্যাটের অফিশিয়াল সাইটে নাম নিবন্ধন করে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি জমা দেওয়া যায়।
টোফেলের সব তথ্য অনলাইনেই পাওয়া যায়। প্রতি মাসেই টোফেল পরীক্ষা দেওয়া যায়। এ পরীক্ষায় চারটি ভাগ আছে: রিডিং, রাইটিং, লিসেনিং ও স্পিকিং।
বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিল ও আইডিপির আয়োজনে আইইএলটিএস পরীক্ষা দেওয়া যায়। প্রতি মাসে সাধারণত তিনবার পরীক্ষা নেওয়া হয়। ওয়েবসাইটে অথবা ফোন করে পরীক্ষার তারিখ জেনে নিতে পারেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়।
৪. কোন সেশনে আবেদন করবেন
কোন সময়টায় ভর্তির জন্য আবেদন করবেন, সে বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। অধিকাংশ দেশে ফল সেশন শুরু হয় আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে। এই সময়ই বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করে। আবার এই সেশনেই শিক্ষাবৃত্তি বা অর্থায়নের সুযোগও পাওয়া যায় বেশি। আর অন্যটা হলো গ্রীষ্মকালীন সেশন। এ সময় স্থানীয় শিক্ষার্থীদের বেশি সুযোগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
কোন সময়টায় ভর্তির জন্য আবেদন করবেন, সে বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। অধিকাংশ দেশে ফল সেশন শুরু হয় আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে। এই সময়ই বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করে। আবার এই সেশনেই শিক্ষাবৃত্তি বা অর্থায়নের সুযোগও পাওয়া যায় বেশি। আর অন্যটা হলো গ্রীষ্মকালীন সেশন। এ সময় স্থানীয় শিক্ষার্থীদের বেশি সুযোগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
৫. আবেদনের জন্য কাগজপত্র তৈরি
স্কুল/কলেজ থেকে প্রশংসাপত্র, সনদ ও নম্বরপত্র তুলতে হবে। অল্প কথায় নিজেকে নিয়ে একটি নিবন্ধ লিখতে হবে। আপনার লেখা নিবন্ধ পড়ে যেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বোঝে যে আপনি মানুষ হিসেবে কেমন। আপনার যদি ছবি আঁকতে, ফুটবল বা ক্রিকেট খেলতে ভালো লাগে, সেটাও নিবন্ধে লিখবেন। সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দারুণ গুরুত্ব দেয়।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভর্তির জন্য আবেদন করতে হয়। এমআইটির জন্য MyMit (https://my.mit.edu/uaweb/login.htm)–এ একটা অ্যাকাউন্ট খুলতে হয় আর যুক্তরাষ্ট্রের বাকি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অ্যাকাউন্ট খুলতে হয় এই ঠিকানায়: Common Application (www.commonapp.org/Login)। কেমব্রিজ, অক্সফোর্ডসহ ইংল্যান্ডের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির জন্য (www.ucas.com) করতে হয় আলাদা আলাদা আবেদন।
স্কুল/কলেজ থেকে প্রশংসাপত্র, সনদ ও নম্বরপত্র তুলতে হবে। অল্প কথায় নিজেকে নিয়ে একটি নিবন্ধ লিখতে হবে। আপনার লেখা নিবন্ধ পড়ে যেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বোঝে যে আপনি মানুষ হিসেবে কেমন। আপনার যদি ছবি আঁকতে, ফুটবল বা ক্রিকেট খেলতে ভালো লাগে, সেটাও নিবন্ধে লিখবেন। সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দারুণ গুরুত্ব দেয়।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভর্তির জন্য আবেদন করতে হয়। এমআইটির জন্য MyMit (https://my.mit.edu/uaweb/login.htm)–এ একটা অ্যাকাউন্ট খুলতে হয় আর যুক্তরাষ্ট্রের বাকি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অ্যাকাউন্ট খুলতে হয় এই ঠিকানায়: Common Application (www.commonapp.org/Login)। কেমব্রিজ, অক্সফোর্ডসহ ইংল্যান্ডের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির জন্য (www.ucas.com) করতে হয় আলাদা আলাদা আবেদন।