Posted by : RABBY শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৫

৫০ লাখের কম জনসংখ্যার দ্বীপরাষ্ট্র নিউজিল্যান্ড বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে উচ্চশিক্ষার আকর্ষণীয় গন্তব্য। কারণ দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। তাই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা সেখানে পড়তে যায়। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও নিউজিল্যান্ডকে তাদের উচ্চশিক্ষার গন্তব্য হিসেবে বেছে নিচ্ছে। দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা ব্রিটিশ শিক্ষাব্যবস্থার আদলে গঠিত। ফলে শিক্ষার্থীরা গবেষণা ও ইন্টার্নশিপের সুযোগ পায়। এতে ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গড়তে সহায়ক প্রায়োগিক দক্ষতা শিক্ষার্থীরা অর্জন করতে পারে।
নিউজিল্যান্ডে মাত্র আটটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এগুলোর প্রতিটি উচ্চমানের গুণগত শিক্ষা প্রদান করে থাকে। বৈশ্বিক ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিংয়ে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান রয়েছে শীর্ষ সারিতে। যেমন টাইমস হায়ার অ্যাডুকেশন এবং সাংহাই জিয়াও টং ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিংয়ে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্থান পেয়েছে। ২০১২-১৩ কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিংয়ে দেশটির আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সাতটিই স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে শীর্ষ দুটি হচ্ছে ইউনিভার্সিটি অব অকল্যান্ড [৮৩তম] ও ইউনিভার্সিটি অব ওটাগো [১৩৩তম]। বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ ইউনিভার্সিটির তালিকায় স্থান পাওয়া দেশটির অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে- ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলিংটন, ইউনিভার্সিটি অব কানটেরবারি, ইউনিভার্সিটি অব ওয়েইকাতো এবং ম্যাসেই ইউনিভার্সিটি।
উচ্চ শিক্ষার খরচ : উচ্চ শিক্ষার খরচ তুলনামূলক বেশি। তবে খরচ প্রধানত নির্ভর করে পছন্দের প্রতিষ্ঠান, বিষয় ও কোন পর্যায়ে পড়াশোনা করবে তার ওপর। আন্ডার-গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে পড়াশোনার খরচ পড়বে সাধারণভাবে বছরে ১৮ হাজার থেকে ২৫ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার। আর পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট স্তরে খরচ দাঁড়াবে গড়পরতায় ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার। তবে খরচ মূলত নির্ভর করে শিক্ষার্থীর পছন্দের বিষয়ের ওপর। যেমন আন্ডার-গ্র্যাজুয়েট স্তরে আর্টস, হিউম্যানিটিস, সামাজিক বিজ্ঞান, ম্যানেজমেন্ট বা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য বার্ষিক খরচ পড়বে ১০ হাজার, ১২ হাজার থেকে ১৮ হাজার ডলার পর্যন্ত। আর জীবনযাপনের খরচ নির্ভর করে শিক্ষার্থীর অবস্থান ও আবাসনের ধরনের ওপর। তবে সাধারণভাবে এ খরচ পড়বে বার্ষিক সাত হাজার থেকে ১২ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলারের মতো।
এদিকে পড়াশোনার খরচের বোঝা হ্রাসের ক্ষেত্রে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নানা ধরনের বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। দেশটির সরকার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি উৎস থেকে তারা বৃত্তি পেতে পারে।
পার্টটাইম কাজের সুযোগ : পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম কাজের সুযোগ আছে। পূর্ণকালীন বিদেশি শিক্ষার্থীরা পড়াশোনাকালীন সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২০ ঘণ্টা কাজের অনুমতি পায়। আর ছুটির দিনে পূর্ণকালীন কাজের সুযোগ রয়েছে। তবে কোনো শিক্ষার্থী পার্টটাইম কাজ করতে পারবে কি পারবে না তা ভিসার শর্তেই যুক্ত থাকে। সে ক্ষেত্রে ভিসার শর্তাবলী ভালো করে দেখে নিতে হবে।
ইংরেজি : দেশটির সরকারি ভাষা তিনটি। ইংরেজি, মাওরি ও নিউজিল্যান্ড সাইন ল্যাংগুয়েজ। মাওরি সরকারি ভাষা হলেও ইংরেজির জনপ্রিয়তায় তা প্রায় হারিয়ে যাওয়ার পথে। তাই এটিকে সংরক্ষণের অংশ হিসেবে স্কুল ও গণমাধ্যমে মাওরি এখন সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয়। তবে বিদেশি শিক্ষার্থীদের দেশটিতে উচ্চশিক্ষার জন্য অবশ্যই ইংরেজি জানতে হবে। এ জন্য তাদের ইংরেজি দক্ষতা নির্ধারণের একটি পরীক্ষা আইইএলটিএস-এ ভালো স্কোর পেতে হবে। আন্ডার-গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য আইইএলটিএস ব্যান্ড স্কোর নূ্যনতম ৫.৫ থাকতে হবে। ৬.০ হলে ভালো। আর পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট স্তরের জন্য তা ৬.০ থাকতে হবে। ৬.৫ হলে ওকে। তবে প্রতিটি ব্র্যান্ডে নূ্যনতম ৬ স্কোর থাকতে হবে। এদিকে এসএসসি ও এইচএসসির প্রতিটিতে নূ্যনতম জিপিএ-৩.৫ থাকতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট :

www.universitiesnz.ac.nz
www.studyplus.co.nz
www.newzealandnow.go
www.edusearch.co.nz
www.minedu.govt.nz
www.immigration.govt.nz
www.otago.ac.nz.

Leave a Reply

Subscribe to Posts | Subscribe to Comments

- Copyright © 2025 RABBY - Date A Live - Powered by Blogger - Designed by Johanes Djogan -

Loading...