Archive for 2016-03-13

How to Switch From 32-bit Windows 10 to 64-bit Windows 10

By : RABBY


64-bit cpu
Microsoft gives you the 32-bit version of Windows 10 if you upgrade from the 32-bit version of Windows 7 or 8.1. But you can switch to the 64-bit version, assuming your hardware supports it.
If you had a 32-bit versions of Windows 7 or 8.1 installed on your PC and upgraded to Windows 10, Microsoft gave you the 32-bit version of Windows 10.

Is Your PC 64-bit Capable?

First thing’s first, you’ll need to confirm whether the CPU in your computer is 64-bit capable. To do so, open the Settings app from your Start menu, select System, and select About. Look to the right of “System type.”
If you see “32-bit operating system, x64-based processor,” this means you’re using a 32-bit version of Windows 10 but your CPU can run a 64-bit version. If it doesn’t say you have an x64-based processor, you have a 32-bit CPU and can’t upgrade to the 64-bit version.

Does Your CPU Have the Required Features?

Some of the first 64-bit CPUs don’t have the required features to run 64-bit versions of Windows 10, even if they are 64-bit compatible. Specifically, Windows 10 requires PAE, SSE2, and NX. Microsoft has more information about this here. PCs will also need support for CMPXCHG16b, which some of the first consumer 64-bit processors didn’t include.
The 64-bit version of Windows 10 will refuse to install if your CPU doesn’t support these things. If you’d like to check before you begin the install process, download and run CPU Z.
“SSE2” will appear under Instructions if it’s supported. “EM64T” or “AMD64” should indicate that PAE is supported. “VT-x” or “VT-d” always indicates that NX is supported.
On some older computers, you may have to enable NX (sometimes called XD) in the computer’s BIOS. If you receive an error about your CPU not being supported during the install process, visit your computer’s BIOS and look for an option titled something like “No eXecute bit (NX)”, “eXecute Disabled (XD)”, “No Execute Memory Protect”, “Execute Disabled Memory Protection”, “EDB (Execute Disabled Bit)”, “EVP (Enhanced Virus Protection)”, or something similar. Look under the “Security” or “Advanced” tabs somewhere in your BIOS for this setting.

Does Your PC’s Hardware Offer 64-bit Drivers?

Even if your CPU and motherboard support the correct features, you might want to consider whether your computer’s hardware will work properly with a 64-bit version of Windows. 64-bit versions of Windows require 64-bit hardware drivers, and the 32-bit versions you’re using on your current Windows 10 system won’t work.
Modern hardware should certainly offer 64-bit drivers, but very old hardware may no longer be supported and the manufacturer may have never offered 64-bit drivers. To check for this, you can visit the manufacturer’s driver download web pages for your hardware and see if 64-bit drivers are available. You shouldn’t necessarily need to download these from the manufacturer’s website — they should be included with Windows 10 or automatically downloaded from Windows Update. But old hardware — for example, a particularly ancient printer — may not offer 64-bit drivers.
Either way, you can find out for sure by installing the 64-bit versions of Windows. if it doesn’t support your CPU, it will let you know. If hardware drivers aren’t available, you’ll see after installing it and you can downgrade to the 32-bit version of Windows 10 if your hardware doesn’t work.

Do the Clean Install

RELATED ARTICLE
How to do a Clean Install of Windows 10, the Easy Way
The Windows 10 upgrade process drags old files, settings, and programs from your previous Windows system to your new one....[Read Article]
You’ll need to perform a clean install to get to the 64-bit version of Windows 10 from the 32-bit one. There’s no upgrade path.
WarningBack up your important files before continuing. This process will wipe your installed programs and files.
First, if you haven’t upgraded to Windows 10 yet, you’ll need to use the upgrade tool to upgrade. You’ll get the 32-bit version of Windows 10 if you were previously using a 32-bit version of Windows 7 or 8.1. But the upgrade process will give your PC a Windows 10 license. Be sure to check that your current 32-bit version of Windows 10 is activated under Settings > Update & security > Activation.
Once you’re already using an activated version of Windows 10, download the Windows 10 media creation tool from Microsoft. If you’re using the 32-bit version of Windows 10 at the moment, you’ll have to download and run the 32-bit tool.
Select “Create installation media for another PC” and use the tool to create a USB drive or burn a disc with Windows 10. As you click through the wizard, you’ll be asked whether you want to create 32-bit or 64-bit installation media. Select the 64-bit architecture.
Next, reboot your computer and boot from the installation media. Install Windows 10, selecting “Custom install” and overwriting your current version of Windows. When you’re asked to insert a product key, skip the process and continue. You’ll have to skip two of these prompts in total. After you reach the desktop, Windows 10 will automatically check in with Microsoft and activate itself. You’ll now be running the 64-bit edition of Windows on your PC.

if you want to go back to the 32-bit version of Windows, you’ll need to download the media creation tool — the 64-bit one, if you’re running the 64-bit version of Windows 10 — and use it to create 32-bit installation media. Boot from that installation media and reinstall the 32-bit version over the 64-bit version.

এবার আপনার windows 7 – 8 ও10 update চিরতরে বন্ধ করে নিল করুন ! আর সেভ করুন আপনার ইন্টার নেট ডাটা

By : RABBY
এবার আপনার windows 8 ও10 update  চিরতরে বন্ধ করে নিল করুন ! আর সেভ করুন আপনার ইন্টার নেট ডাটা।
আমরা অনেকেই আছি যারা মনে করি windows update এ গিয়ে Turn of automatic updating করলে কাজ শেষ।
বাস্তবে এটা ঠিক নয়।
আজ আপনাদের দেখাবো  কি  করে এই সমস্য খেকে মুত্তি পাবেন।
১ . প্রখমে search  এ গিয়ে  gpedit.msc  দিয়ে ইন্টার দেন।
নিচের ছবির  মতো ।
২ . Click on Computer Configuration,
নিচের ছবির  মতো ।
৩ . এবার  Administrative Templates এ ক্লিক করে  All Settings এ ক্লিক করে  Configure Automatic Updates এ ক্লিক করুন নিচের ছবির  মতো ।
৪ . এবার Disabled এ ক্লিক করে Allow local admin to choose setting করি Apply করে ওকে করে দিন।
বুঝতে সমস্যা হলে যানাবেন।
windows 7 দিয়ে।
1 . আপনার computer a Right click করে Manage  এ ক্লিক করুন।
নিচের ছবির  মতো  আসবে।
2. এবার services and Applications এ ক্লিক করুন।
3. তার পর  services এ ক্লিক করুন।
নিচের ছবির  মতো  আসবে।

৪.  এবার windows update  এ ক্লিক করুন (statup type এ Disabled করুন এবং stop এ ক্লিক করুন  ১ মিনিট অপেক্ষা করুন এবার Apply এ ক্লিক করে ওকে করুন।

ধন্যবাদ সবাই ভাল থাকবেন।
কেমন হলো জানাতে ভুলবেন না।
## আমার পরের টিউন কি ভাবে আপনার  windows এর  Rating : windows Experience index বাড়িয়ে ৩০ % আপনার পিসির গতি বাড়াবেন।
আশা করি আমার পরের টিউন টিও আপনাদের অনেক কাজে দেবে  এবং আপনাদের সারা পেলে আরো অনেক সুন্দর সুন্দর টিউন উপহার দিতে পারবো।

দক্ষ লোকের কাজের অভাব হয় না, নিজেকে গড়ুন অভিজ্ঞ আইটি প্রফেসনাল হিসেবে। A to M Guideline

By : RABBY
সবাই বলে দেশে চাকরির অভাব, কিন্তু আসলেই কি সেটা ঠিক না কি দেশে অভিজ্ঞ জনবলের অভাব। ভালো কাজ জানলে তার কাজের অভাব হয় না। আমাদের দেশ কিন্তু এখন পূর্বের তুলনায় অনেক আগিয়ে গেছে তথ্য প্রযুক্তিতে, প্রচুর কাজের জায়গা আছে কিন্তু অভিজ্ঞ আইটি প্রফেসনাল এর খুব অভাব। তাই এখনি সময় নিজেকে অভিজ্ঞ আইটি প্রফেসনাল তৈরী করার। তাই আর দেরী না করে কাজে লেগে পড়ুন, আর নিজেকে প্রমান করুন। আজকে আমি অনলাইন ব্র্যান্ডিং এ কি ভাবে ক্যারিয়ার গড়বেন তার টিপস দেব।
বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক কোম্পানি আছে, যারা তাদের বিজনেস সম্প্রসারণের জন্য মার্কেটিং করে, আপনার কাজ হবে তাদের মার্কেটিং করা বা তার ব্র্যান্ড নাম টাকে প্রচার করা। কিন্তু ডিলার টু ডিলার ভিসিট না করে আপনার কাজ হবে অনলাইন এ বসে মার্কেটিং করা বা তাদের ব্র্যান্ড নাম টা প্রচার করা আর এটাই হলো অনলাইন ব্র্যান্ডিং ।
আইটি প্রফেশনাল বা অনলাইন ব্রান্ডের হতে কি কি জানতে ও করতে হবে আপনাকে :
SEO : Search engine optimization জানাটা একজন অনলাইন ব্রান্ডের এর জন্য অপরিহার্য। অনেকই বিষয়টাকে অনেক কঠিন মনে করেন কিন্তু একটু চেষ্টা করলে আপনি বিষয়টা শিখতে পারবেন। এটা শিখতে আপনাকে বিশেষ কোনো প্রোগ্রামিং জানতে হবে না। আপনি চাইলে techtunes এর seo বিভাগ  থেকেই অনেক কিছু শিখতে পারবেন।
Graphics Design : অনলাইন ব্র্যান্ডিং এ কাজ করতে হলে আপনাকে টুকটাক ফটোশপ এর কাজ জানতে হবে। আপনি youtube থেকে অনেক বাংলা ফটোশপ টিউটোরিয়াল পাবেন যেখান থেকে কাজ গুলো শিখে নিতে পারেন। Design এর কাজ মূলত সকল কোম্পানির কম বেশি লাগে, তাই ফটোশপ শিখলে  আপনার ফায়দায় ফায়দায়।
নিচে ফটোশপ শেখার বাংলা ভিডিও লিঙ্কটি দেখতে পারেন :
WordPress : Wordpress একটি ওপেন সোর্স প্লাটফর্ম। ডাইনামিক ওয়েবসাইট তৈরী করতে এর জুরি নেই। অনলাইন ব্র্যান্ডিং করতে হলে আপনাকে ওয়েবসাইট এর উপরে কাজ করতে হবে তাই WordPress শিখে রাখাটা আপনার জন্য খুব জরুরি, আর সব কথার বড় কথা এখন মোটা মোটি সব কোম্পানির নিজের ওয়েবসাইট আছে বা করছে তাই এর গুরুত্ব অপরিসীম।
নিচে WordPress শেখার বাংলা ভিডিও লিঙ্কটি দেখতে পারেন :
C-panel :  C-panel এর কাজ মূলত ওয়েব হোস্টিং রিলেটেড। একটা হোস্টিং এ কিভাবে ওয়েবসাইট রাখবেন, সাব-ডোমেইন  বানাবেন, ফাইল ডাউনলোড ও আপলোড করেবেন, ইমেইল এড্রেস তৈরী করবেন। নিশ্চয় বুঝতে আর বাকি নেই যে কাজ টা জানা থাকলে আপনার কি লাভ হবে।
নিচে C-panel শেখার বাংলা ভিডিও লিঙ্কটি দেখতে পারেন :
Microtik Router : একজন আইটি প্রফেসনাল  এর জন্য Microtik Router এর  কাজ জানাটা জরুরি। কি ভাবে সেটআপ দিবেন, গেট-ওয়ে তৈরী করবেন সকল কিছুই পাবেন নিচের ভিডিও লিংক এ।
নিচে Microtik Router শেখার বাংলা ভিডিও লিঙ্কটি দেখতে পারেন :
Notice : BOSS হইতে হলে নিজে নিজেই কাজ শিখতে হয়, ট্রেনিং সেন্টার থেকে কাজ শিখলে BOSS হুয়া যায় না।
উপরের এই বিষয় গুলো শিখতে যেয়ে কোনো প্রবলেম ফেস করলে গুগল মামার হেল্প নিতে পারেন বা আমাকে একটু নক করতে পারেন, আশা করি আমাকে আপনাদের পাশেই পাবেন। আজকের মত এই পর্যন্তই, সবাই ভালো থাকবেন এই কামনায় আল্লাহ হাফিজ।
আমাকে ফেইসবুক এ পেতে : https://www.facebook.com/biplob.reza.7
আমার ওয়েবসাইট : http://www.softsio.com/

ইন্টারনেটের কিছু বিরক্তিকর বিষয় থেকে মুক্তির উপায়

By : RABBY
প্রতিদিন ইন্টারনেটে একটা না একটা নতুন বিরক্তিকর বিষয় যুক্ত হচ্ছে আর সেটাকে নিয়ে আপনি পড়ছেন যত রকম ঝামেলায়। পৃথিবী যদি নিখুঁত হত তাহলে কিন্তু এসকল বিষয় নিয়ে চিন্তা করবার প্রয়োজন হত না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও পৃথিবী নিখুঁত নয় আর তাই আসুন আমরা শিখে নেই কিভাবে আমরা ১৩টি বিরক্তিকর ঝামেলা থেকে নিজেদেরকে মুক্ত রাখবো।
১. রেজিস্টার করতে হবে:
অনেক সংবাদপত্রের সাইটগুলো এখন সংবাদ দেখবার জন্য সাইন-ইন করতে বলে, যার মাধ্যমে আপনার উপর তারা নজর রাখে। এছাড়া আপনি কয়েকটি মাত্র প্রবন্ধ পড়বার সুযোগ পাবেন। এ ধরণের সাইটগুলোর মধ্যে ফাইনান্সিয়াল টাইমস এবং ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল অন্যতম। আপনি যদি নিয়মিত গ্রাহক না হন তাহলে এ এক বিশাল সমস্যা।
সমাধান: ওয়াল জার্নালের লেখাগুলো আপনি পড়তে পারবেন গুগল নিউজ সাইটের মাধ্যমে। আর তাই আপনাকে যদি ওয়ালস্ট্রিট ব্লক করে দেয় তাহলে চলে যান গুগল নিউজ সার্চে এবং সেখানকার সার্চে আপনি যে বিষয়ে আগ্রহী সেটা লিখে সার্চ দিন। সার্চ রেজাল্টে ওয়ালস্ট্রিটের লিঙ্ক ফলো করুন এবং সংবাদটি পরে ফেলুন।
download (77)
২. অত্যধিক সামাজিক নেটওয়ার্ক সাইট:
ফেসবুক, টুইটার, গুগল+, মাই-স্পেস, ফোর-স্কয়ার এছাড়া আরো অনেক সামাজিক ওয়েবসাইট, যাদের সকলকে যদি আপনি ট্র্যাক করতে যান তো দিন কাবার হয়ে যাবে। হ্যাঁ আপনি যেকোনো একটি পছন্দ করে শুধু তাকেই ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু তাতে দেখা যাবে আপনি মাত্র কয়েকজন বন্ধুর সাথে যোগাযোগ রাখতে পারছেন, সকলের সাথে নয়।
সমাধান: ডিগসবি বা মিবো ব্যবহার করতে পারেন। এই প্রোগামগুলি আপনাকে দিবে একটি ইন্টারফেসের মাধ্যমে কয়েকটি সামাজিক নেটওয়ার্ক ব্যবহারের সুবিধা। যদিও পুরো সাইটটি ব্যবহারের যে আনন্দ তা থেকে হয়তো ব্যাহত হবেন কিন্তু একই সাথে কয়েকটি নেটওয়ার্কের স্ট্যাটাস আপডেটের দিকে অনায়াসে চোখ রাখতে পারবেন।
৩. ভিডিও অ্যাড:
মাঝে মাঝে আপনি একটি ওয়েবসাইট ব্রাউজ করছেন এসময় হটাৎ চারিদিক ফেটে পড়ে উচ্চ কোন শব্দে। হ্যাঁ পেজটিতে রয়েছে একটি ভিডিও অ্যাড আর শব্দটি আসছে সেখান থেকে।
সমাধান: ফ্ল্যাশ মিউট নামে একটা উইন্ডোজ সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। এই সফটওয়্যারটি ফ্ল্যাশ ভিডিওগুলোকে আপনার অডিও হার্ডওয়্যার ব্যবহার করতে বাধা প্রদান করবে। এই প্রোগ্রামটি ইন্সটলের সময় আপনার অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার বাঁধা দিতে পারে, নির্দ্বিধায় ইন্সটল করুন।
৪. ফার্মভিল:
ফার্মভিলের রিবন, কুইজ রেজাল্ট ইত্যাদি আপনার ফেসবুক ব্যবহারকে বিভীষিকাময় করে তুলছে।
সমাধান: আপনার ফেসবুক পেজের প্রাইভেসি সেটিংসে গিয়ে অ্যাপটিকে ব্লক করে দিন। অথবা যারা ফায়ার ফক্স ব্রাউজার ব্যবহার করছেন ফেসবুক পিউরিটি নামক একটি প্লাগিন ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
৫. ফিশিং:
টুইটার, ফেসবুক, হটমেইল, জিমেইল টক এবং অ্যাডব পিডিএফ ফাইলের মত কোম্পানিগুলো আজকাল ফিসিং এর আক্রমন থেকে মুক্ত নয়। যদিও এগুলো সম্পর্কে আপনার সাবধান থাকেন সবসময় কিন্তু বিরক্ত বোধটুকুতো থেকেই যায়।
সমাধান: আধুনিক সকল ব্রাউজারে অ্যান্টি-ফিশিং সুবিধা রয়েছে। সেগুলো অন করে রাখুন এছাড়া অ্যান্টি ফিশিং সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন, যেমন নরটন।
৬. ঐ উইন্ডোটি খুলবেন না:
একটা লিঙ্ক চাপ দেবার সাথে সাথে পেছনে একটা এক্সট্রা পেজ বা ট্যাব ওপেন হয়, সেখানে আসে অদ্ভুত রকমের বিজ্ঞাপন, সাথে থাকে
সমাধান: ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীরা অ্যাড্রেসবারে লিখতে পারেন about:config, ফিল্টার ফিল্ডে অনুসন্ধান করতে পারেন “browser.link”, ডাবল ক্লিক করতে পারেন open_newwindow এবং এর ভ্যালুকে পরিবর্তন করে করুন ১।
৭. একটা ফ্রেম এসে আপনার ভিউকে বাধা প্রদান করছে:
আমি ধরে নিয়েছিলাম নেটস্কেপের সাথে সাথে ব্রাউজার ফ্রেমের মৃত্যু ঘটবে। কিন্তু এখন “ডিগবার” নামক একটা বিষয় প্রায়ই ব্রাউজারগুলোকে আক্রমণ করে।
সমাধান: ফায়ারফক্সের ব্যবহারকারীরা ব্যবহার করতে পারেন গ্রিজ মাঙ্কি প্লাগিন।
৮. ইহা একটি বিজ্ঞাপনের লিঙ্ক:
কোন ওয়েবসাইট বিজ্ঞাপন বিহীন নয়।
সমাধান: এখানে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহারকারীরা জয়ী হয়েছেন। ইন্টারনেট অপশন->সিকিউরিটি->রেস্ট্রিকটেড সাইট এবং ব্লক করে দিন “*.vibrantmedia.com,” “*.intellitxt.com” and “*.kontera.com.” এই কয়েকটিকে। ফায়ারফক্স ব্যবহার কারীকে “ব্লকসাইট” প্লাগিন সংযুক্ত করতে হবে। আর অপেরা ব্যবহারকারী ওয়েব পেজের উপর রাইট করে ব্লক কনটেন্ট ক্লিক করুন। তারপর যে সকল বিজ্ঞাপনকে ব্লক করবেন সেগুলোকে ক্লিক করুন এবং ক্লিক করুন Done বাটনে।
৯. অনুসন্ধান পৃষ্ঠায় জাঙ্ক সাইট:
অনুসন্ধান পৃষ্ঠার প্রথমদিকের সার্চগুলো কিন্তু বেশীরভাগ সময়ই জাঙ্ক লিঙ্ক হয়ে থাকে।
সমাধান: ব্যবহার করুন অ্যাডভানস সার্চ অপশনটিকে।
১০. এই অনুসন্ধান বাটনটির কোন মূল্য নেই:
কোন ওয়েবসাইটের ভেতরের সার্চ বাটনটি এত বাজে যে সেটা ব্যবহার করবার চিন্তাও করা যায় না। তারা কিছুদিন পূর্বে পরেছেন সেই প্রতিবেদন খুঁজে বার করতে ব্যর্থ হয়।
সমাধান: আপনার প্রিয় সার্চ সাইটটিতে চলে যান এবং সার্চ করুন এই টার্মগুলো ব্যবহার করে, site:nameofsite.com “কি খুঁজছেন তা লিখুন”। এর রেজাল্ট দেখে আপনি নিজেও অবাক হয়ে যাবেন। গুগলের শো অপশন ক্লিক করলে আপনি তথ্যগুলো তারিখ অনুযায়ী সাজিয়েও ফেলতে পারবেন।
১১. অন্য ব্রাউজার ব্যবহার করবার অনুরোধ:
অনেক সময় আপনি এমন অনেক ওয়েব সাইট পাবেন যারা ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ছাড়া অন্য কোন ব্রাউজার সাপোর্ট করে না।
সমাধান: ফায়ারফক্সে “কোরাল আইই ট্যাব” প্লাগিনটি ব্যবহার করতে পারবেন। ক্রোমের জন্য ব্যবহার করুন “আইই ট্যাব” এক্সটেনশনটি।
১২. ক্যাপচা:
ক্যাপচা, এই ছোট্ট ইমেজগুলোর ঘাড়ে থাকে বিশাল এক দায়িত্ব, ব্যবহারকারীকে স্প্যামের হাত থেকে রক্ষা করা। কিন্তু এর চাইতে বিরক্তিকর ব্যাপার আর কিছু হতে পারে না।
সমাধান: মেগাআপলোড ব্যবহারকারীরা “মেগাআপলোড টাইম অ্যাটাক” ব্যবহার করে দেখতে পারেন। “স্কিপস্ক্রিন” ব্যবহার করতে পারেন র‍্যাপিডশেয়ার এবং মেগাআপলোডের জন্য। মাইস্পেস ব্যবহারকারীরা তাদের অ্যাকাউন্ট ফোন নাম্বারের মাধ্যমে ভেরিফাই করালে এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। না ক্যাপচার হাত থেকে আসলে কোন মুক্তি নেই।
১৩. এই সাইটটি একটি বোগাস সাইট:
যখন আপনি অ্যাড্রেসবারে ভুল অ্যাড্রেস লেখেন অথবা কোন বন্ধ হয়ে যাওয়া সাইটের লিঙ্কে চাপ দেন তখন একটা ওয়েব পেজ দেখতে পাবেন। যেখানে কিছু ভুয়া লিঙ্ক এ ধরণের স্লোগান দেখতে পাবেন, “What you need, when you need it.” এগুলোকে বলা হয় ডোমেইন পার্কিং।
সমাধান: ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীরা এ ধরণের খালি পেজের হাত থেকে মুক্তি পেতে যোগ করুন “*. information.com ” এই তথ্যটুকু আপনার রেস্ট্রিকটেড তালিকার সাথে। দুঃখিত IE তে একই পদ্ধতি কোন কাজ করেনা।

ড.আতিউর রহমান : রাখাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর

By : RABBY
অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড.আতিউর রহমানের ছেলেবেলা কেটেছে গরু-ছাগল চড়িয়ে! সেখান থেকে আজকের অবস্থানে পৌছাতে তাঁকে অনেক ত্যাগ স্বীকার ও সংগ্রাম করতে হয়েছে।
প্রিয় পাঠক আসুন সেই কাহিনী শুনি তাঁর নিজের-ই মুখে:— আমার জন্ম জামালপুর জেলার এক অজপাড়াগাঁয়ে । ১৪ কিলোমিটার দূরের শহরে যেতে হতো পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে চড়ে । পুরো গ্রামের মধ্যে একমাত্র মেট্রিক পাস ছিলেন আমার চাচা মফিজউদ্দিন ।
আমার বাবা একজন অতি দরিদ্র ভূমিহীন কৃষক। আমরা পাঁচ ভাই, তিন বোন । কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতো আমাদের।
আমার দাদার আর্থিক অবস্থা ছিল মোটামুটি । কিন্তু তিনি আমার বাবাকে তাঁর বাড়িতে ঠাঁই দেননি । দাদার বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে একটা ছনের ঘরে আমরা এতগুলো ভাই-বোন আর বাবা-মা থাকতাম । মা তাঁর বাবার বাড়ি থেকে নানার সম্পত্তির সামান্য অংশ পেয়েছিলেন । তাতে তিন বিঘা জমি কেনা হয় ।
চাষাবাদের জন্য অনুপযুক্ত ওই জমিতে বহু কষ্টে বাবা যা ফলাতেন, তাতে বছরে ৫/৬ মাসের খাবার জুটতো । দারিদ্র্য কি জিনিস, তা আমি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছি-খাবার নেই, পরনের কাপড় নেই, কি এক অবস্থা!!
আমার মা সামান্য লেখাপড়া জানতেন । তাঁর কাছেই আমার পড়াশোনার হাতেখড়ি । তারপর বাড়ির পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হই । কিন্তু আমার পরিবারে এতটাই অভাব যে,আমি যখন তৃতীয় শ্রেণীতে উঠলাম,তখন আর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকলো না । বড় ভাই আরো আগে স্কুল ছেড়ে কাজে ঢুকেছেন । আমাকেও লেখাপড়া ছেড়ে রোজগারের পথে নামতে হলো।
আমাদের একটা গাভী আর কয়েকটা খাঁসি ছিল । আমি সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত ওগুলো মাঠে চড়াতাম।
বিকেল বেলা গাভীর দুধ নিয়ে বাজারে গিয়ে বিক্রি করতাম । এভাবে দুই ভাই মিলে যা আয় করতাম, তাতে কোন রকমে দিন কাটছিল । কিছুদিন চলার পর দুধ বিক্রির আয় থেকে সঞ্চিত আট টাকা দিয়ে আমি পান-বিড়ির দোকান দেই । প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকানে বসতাম । পড়াশোনা তো বন্ধই,আদৌ কি করবো- সেই স্বপ্নও ছিল না।
এক বিকেলে বড় ভাই বললেন, আজ স্কুল মাঠে নাটক হবে । স্পষ্ট মনে আছে, তখন আমার গায়ে দেয়ার মতো কোন জামা নেই । খালি গা আর লুঙ্গি পরে আমি ভাইয়ের সঙ্গে নাটক দেখতে চলেছি । স্কুলে পৌছে আমি তো বিস্ময়ে হতবাক! চারদিকে এত আনন্দময় চমৎকার পরিবেশ । আমার মনে হলো,আমিতো আর সবার মতোই হতে পারতাম । সিদ্ধান্ত নিলাম,আমাকে আবার স্কুলে ফিরে আসতে হবে।
নাটক দেখে বাড়ি ফেরার পথে বড় ভাইকে বললাম,আমি কি আবার স্কুলে ফিরে আসতে পারি না ? আমার বলার ভঙ্গি বা করুণ চাহনি দেখেই হোক কিংবা অন্য কোন কারণেই হোক কথাটা ভাইয়ের মনে ধরলো । তিনি বললেন,ঠিক আছে কাল হেডস্যারের সঙ্গে আলাপ করবো।
পরদিন দুই ভাই আবার স্কুলে গেলাম । বড় ভাই আমাকে হেডস্যারের রুমের বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে ভিতরে গেলেন । আমি বাইরে দাড়িয়ে স্পষ্ট শুনছি, ভাই বললেন আমাকে যেন বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগটুকু দেওয়া হয় । কিন্তু হেডস্যার অবজ্ঞার ভঙ্গিতে বললেন, সবাইকে দিয়ে কি লেখাপড়া হয়!
স্যারের কথা শুনে আমার মাথা নিচু হয়ে গেল। যতখানি আশা নিয়ে স্কুলে গিয়েছিলাম,স্যারের এক কথাতেই সব ধুলিস্মাৎ হয়ে গেল । তবু বড় ভাই অনেক পীড়াপীড়ি করে আমার পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি যোগার করলেন । পরীক্ষার তখন আর মাত্র তিন মাস বাকি । বাড়ি ফিরে মাকে বললাম, আমাকে তিন মাসের ছুটি দিতে হবে । আমি আর এখানে থাকবো না । কারণ ঘরে খাবার নেই,পরনে কাপড় নেই- আমার কোন বইও নেই, কিন্তু আমাকে পরীক্ষায় পাস করতে হবে।
মা বললেন, কোথায় যাবি? বললাম, আমার এককালের সহপাঠী এবং এখন ক্লাসের ফার্স্ট বয় মোজাম্মেলের বাড়িতে যাবো । ওর মায়ের সঙ্গে আমার পরিচয় আছে । যে ক’দিন কথা বলেছি,তাতে করে খুব ভালো মানুষ বলে মনে হয়েছে । আমার বিশ্বাস, আমাকে উনি ফিরিয়ে দিতে পারবেন না।
দুরু দুরু মনে মোজাম্মেলের বাড়ি গেলাম । সব কিছু খুলে বলতেই খালাম্মা সানন্দে রাজি হলেন । আমার খাবার আর আশ্রয় জুটলো; শুরু হলো নতুন জীবন । নতুন করে পড়াশোনা শুরু করলাম। প্রতিক্ষণেই হেডস্যারের সেই অবজ্ঞাসূচক কথা মনে পড়ে যায় ,জেদ কাজ করে মনে; আরো ভালোকরে পড়াশোনা করি।
যথাসময়ে পরীক্ষা শুরু হলো । আমি এক-একটি পরীক্ষা শেষ করছি আর ক্রমেই যেন উজ্জীবিত হচ্ছি। আমার আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যাচ্ছে । ফল প্রকাশের দিন আমি স্কুলে গিয়ে প্রথম সারিতে বসলাম হেডস্যার ফলাফল নিয়ে এলেন । আমি লক্ষ্য করলাম , পড়তে গিয়ে তিনি কেমন যেন দ্বিধান্বিত । আড়চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছেন । তারপর ফল ঘোষনা করলেন । আমি প্রথম হয়েছি ! খবর শুনে বড় ভাই আনন্দে কেঁদে ফেললেন । শুধু আমি নির্বিকার-যেন এটাই হওয়ার কথা ছিল।
বাড়ি ফেরার পথে সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য । আমি আর আমার ভাই গর্বিত ভংগিতে হেঁটে আসছি । আর পিছনে এক দল ছেলেমেয়ে আমাকে নিয়ে হৈ চৈ করছে, স্লোগান দিচ্ছে । সারা গাঁয়ে সাড়া পড়ে গেল! আমার নিরক্ষক বাবা, যারঁ কাছে ফার্স্ট আর লাস্ট একই কথা- তিনিও আনন্দে আত্মহারা; শুধু এইটুকু বুঝলেন যে, ছেলে বিশেষ কিছু একটা করেছে।যখন শুনলেন আমি ওপরের ক্লাসে উঠেছি, নতুন বই লাগবে, পরদিনই ঘরের খাসিটা হাটে নিয়ে গিয়ে ১২টাকায় বিক্রি করে দিল। তারপর আমাকে নিয়ে জামালপুর গেলেন। সেখানকার নবনূর লাইব্রেরী থেকে নতুন বই কিনলাম।
আমার জীবনযাত্রা এখন সর্ম্পূন বদলে গেছে। আমি রোজ স্কুলে যাই। অবসরে সংসারের কাজ করি। ইতোমধ্যে স্যারদের সুনজরে পড়ে গেছি। ফয়েজ মৌলবী স্যার আমাকে তারঁ সন্তানের মত দেখাশুনা করতে লাগলেন। সবার আদর,যতœ, øেহে আমি ফার্স্ট হয়েই পঞ্চম শ্রেনীতে উঠলাম।এতদিনে গ্রামের একমাত্র মেট্রিক পাশ মফিজউদ্দিন চাচা আমার খোঁজ নিলেন। তারঁ বাড়ীতে আমার আশ্রয় জুটলো।
প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে আমি দিঘপাইত জুনিয়র হাইস্কুলে ভর্তি হই। চাচা ওই স্কুলের শিক্ষক। অন্য শিক্ষকরাও আমার সংগ্রামের কথা জানতেন। তাই সবার বাড়তি আদর-ভালবাসা পেতাম।
আমি যখন সপ্তম শ্রেনীতে পেরিয়ে অষ্টম শ্রেণীতে উঠবো, তখন চাচা একদিন কোথেকে যেন একটা বিজ্ঞাপন কেটে নিয়ে এসে আমাকে দেখালেন। ওটা ছিল ক্যাডেট কলেজে ভর্তির বিজ্ঞাপন। যথাসময়ে ফরম পূরণ করে পাঠালাম।
এখানে বলা দরকার, আমার নাম ছিল আতাউর রহমান। কিন্তু ক্যাডেট কলেজের ভর্তি ফরমে স্কুলের হেডস্যার আমার নাম আতিউর রহমান লিখে চাচাকে বলেছিলেন, এই ছেলে একদিন অনেক বড় কিছু হবে। দেশে অনেক আতাউর আছে। ওর নামটা একটু আলাদা হওয়া দরকার; তাই আতিউর করে দিলাম।
আমি রাত জেগে পড়াশোনা করে প্রস্তুতি নিলাম। নির্ধারিত দিনে চাচার সঙ্গে পরীক্ষা দিতে রওনা হলাম। ওই আমার জীবনে প্রথম ময়মনসিংহ যাওয়া। গিয়ে সবকিছু দেখে তো চক্ষু চড়কগাছ। এত এত ছেলের মধ্যে আমিই কেবল পায়জামা আর স্পঞ্জ পরে এসেছি। আমার মনে হলো, না আসাটাই ভালো ছিল। অহেতুক কষ্ট করলাম। ভাবলাম হবে না। কিন্তু দুই মাস পর চিঠি পেলাম, আমি নির্বাচিত হয়েছি। এখন চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে যেতে হবে।
সবাই খুব খুশি; কেবল আমিই হতাশ। আমার একটা প্যান্ট নেই, যেটা পরে যাবো। শেষে স্কুলের কানাই লাল বিশ্বাসের ফুলপ্যান্টটা ধার করলাম। আর একটা শার্ট যোগাড় হলো। আমি আর চাচা অচেনার ঢাকার উদ্দেশে রওনা হলাম। চাচা শিখিয়ে দিলেন, মৌখিক পরীক্ষা দিতে গিয়ে আমি যেন দরজার কাছে দাড়িঁয়ে বলি: ম্যা আই কাম ইন স্যার? ঠিক মতোই বললাম। তবে এত উচ্চস্বরে বললাম যে, উপস্থিত সবাই হো হো করে হেসে উঠলো।
পরীক্ষকদের একজন মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের এম. ডাব্লিউ. পিট আমাকে আপদমস্তক নিরীক্ষণ করে সবকিছু আচঁ করে ফেললেন। পরম øেহে আমাকে বসালেন। মুহুর্তের মধ্যে তিনি আমার খুব আপন হয়ে গেলেন। আমার মনে হলো, তিনি থাকলে আমার কোন ভয় নেই। পিট স্যার আমার লিখিত পরীক্ষার খাতায় চোখ বুলিয়ে নিলেন। তারপর অন্য পরীক্ষকদের সঙ্গে ইংরেজীতে কী-সব আলাপ করলেন। আমি সবটা না বুঝলেও আচঁ করতে পারলাম যে, আমাকে তাদেঁর পছন্দ হয়েছে। তবে তারাঁ কিছুুই বললেন না। পরদিন ঢাকা শহর ঘুরে দেখে বাড়ি ফিরে এলাম। যথারীতি পড়াশোনায় মনোনিবেশ করলাম। কারন আমি ধরে নিয়েছি আমার চান্স হবে না।
হঠাৎ তিন মাস পর চিঠি এলো। আমি চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছি। মাসে ১৫০ টাকা বেতন লাগবে। এর মধ্যে ১০০ টাকা দেওয়া হবে, বাকি ৫০ টাকা আমার পরিবারকে যোগান দিতে হবে। চিঠি পড়ে মন ভেঙ্গে গেল। যেখানে আমার পরিবারের তিনবেলা খাওয়ার নিশ্চয়তা নেই, আমি চাচার বাড়িতে মানুষ হচ্ছি, সেখানে প্রতিমাসে ৫০ টাকা বেতন যোগানোর কথা চিন্তাও করা যায় না!
এই যখন অবস্থা, তখন প্রথমবারের মতো আমার দাদা সবর হলেন। এত বছর পর নাতির (আমার) খোঁজ নিলেন। আমাকে অন্য চাচাদের কাছে নিয়ে গিয়ে বললেন, তোমরা থাকতে নাতি আমার এত ভালো সুযোগ পেয়েও পড়তে পারবে না? কিন্তু তাদের অবস্থাও খুব বেশি ভালো ছিল না। তারাঁ বললেন, একবার না হয় ৫০ টাকা যোগাড় করে দেবো, কিন্তু প্রতি মাসে তো সম্ভব নয়। দাদাও বিষয়টা বুঝলেন।
আমি আর কোন আশার আলো দেখতে না পেয়ে সেই ফয়েজ মৌলভী স্যারের কাছে গেলাম। তিনি বললেন, আমি থাকতে কোন চিন্তা করবে না। পরদিন আরো দুইজন সহকর্মী আর আমাকে নিয়ে তিনি হাটে গেলেন। সেখানে গামছা পেতে দোকানে দোকানে ঘু-রলেন। সবাইকে বিস্তারিত বলে সাহায্য চাইলেন। সবাই সাধ্যমতো আট আনা, চার আনা, এক টাকা, দুই টাকা দিলেন। সব মিলিয়ে ১৫০ টাকা হলো। আর চাচারা দিলেন ৫০ টাকা। এই সামান্য টাকা সম্বল করে আমি মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হলাম। যাতায়াত খরচ বাদ দিয়ে আমি ১৫০ টাকায় তিন মাসের বেতন পরিশোধ করলাম। শুরু হলো অন্য এক জীবন।
প্রথম দিনেই এম. ডাব্লিউ. পিট স্যার আমাকে দেখতে এলেন। আমি সব কিছু খুলে বললাম। আরো জানালাম যে, যেহেতু আমার আর বেতন দেওয়ার সামর্থ্য নেই, তাই তিনমাস পর ক্যাডেট থেকে চলে যেতে হবে। সব শুনে স্যার আমার বিষয়টা বোর্ড মিটিয়ে তুললেন এবং পুরো ১৫০ টাকাই বৃত্তির ব্যবস্থা করে দিলেন। সেই থেকে আমাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।এস.এস.সি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডে ৫ম স্থান অধিকার করলাম এবং আরো অনেক সাফল্যের মুকুট যোগ হলো।
আমার জীবনটা সাধারণ মানুষের অনুদানে ভরপুর। পরবর্তীকালে আমি আমার এলাকায় স্কুল করেছি, কলেজ করেছি। যখন যাকে যতটা পারি, সাধ্যমত সাহায্য সহযোগিতা করি। কিন্তু সেই যে হাট থেকে তোলা ১৫০ টাকা!! সেই ঋণ আজও শোধ হয়নি। আমার সমগ্র জীবন উৎসর্গ করলেও সেই ঋণ শোধ হবে না। শোধ হবার নয়!!

- Copyright © RABBY - Date A Live - Powered by Blogger - Designed by Johanes Djogan -