Posted by : RABBY মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

উচ্চশিক্ষার জন্য ভিনদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার ইচ্ছা অনেকেরই থাকে। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা আর প্রস্তুতিকৌশল না জানার কারণে সুযোগ হারান অনেকেই। তাই বিদেশে পড়তে যাওয়ার পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে এই ফিচার।

১. পড়ার বিষয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন
বিদেশে পড়ার আগ্রহ থাকলে এসএসসি/ও-লেভেল পরীক্ষার পর থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করা উচিত। সে ক্ষেত্রে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, কোন বিষয়ে পড়তে আগ্রহী, তা ঠিক করে নেওয়া জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইটে ভর্তিসংক্রান্ত সব তথ্য সহজ ভাষায় লেখা থাকে। তাই ইন্টারনেটের মাধ্যমে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা নির্ধারণ করে ফেলা গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
২. যোগ্যতা প্রমাণের কিছু পরীক্ষা
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য যোগ্যতা যাচাইয়ের কিছু পরীক্ষায় অংশ নিন। এর মধ্যে যেমন রয়েছে জিআরই, জিম্যাট বা ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা প্রমাণের জন্য টোফেল বা আইইএলটিএস। জিআরই বা জিম্যাটে ভালো করলে ভর্তি বা ভর্তির সঙ্গে স্কলারশিপ পেতে সুবিধা হয়। স্নাতক পর্যায়ে বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য যাদের প্রথম পছন্দ যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডা, স্যাট তাঁদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা। প্রধানত, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য আইইএলটিএস অপরিহার্য ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর আমেরিকা, অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও এ পরীক্ষার স্কোর চাইছে। ইউরোপের বেশির ভাগ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আইইএলটিএস চায়।
৩. পরীক্ষার প্রস্তুতি
স্যাট পরীক্ষায় গণিত, ক্রিটিক্যাল রিডিং ও রাইটিং বিভাগে পরীক্ষা দিতে হয়। স্যাটে গণিত একটু সহজ হলেও ইংরেজির অংশ কিছুটা কঠিন। ইংরেজিতে ভালো করতে নিয়মিত ইংরেজি অনুশীলন, প্রচুর শব্দ শেখা আর ইংরেজি বই পড়তে হবে। পরীক্ষার নিবন্ধনের জন্য স্যাটের অফিশিয়াল সাইটে নাম নিবন্ধন করে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি জমা দেওয়া যায়।
টোফেলের সব তথ্য অনলাইনেই পাওয়া যায়। প্রতি মাসেই টোফেল পরীক্ষা দেওয়া যায়। এ পরীক্ষায় চারটি ভাগ আছে: রিডিং, রাইটিং, লিসেনিং ও স্পিকিং।
বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিল ও আইডিপির আয়োজনে আইইএলটিএস পরীক্ষা দেওয়া যায়। প্রতি মাসে সাধারণত তিনবার পরীক্ষা নেওয়া হয়। ওয়েবসাইটে অথবা ফোন করে পরীক্ষার তারিখ জেনে নিতে পারেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়।
৪. কোন সেশনে আবেদন করবেন
কোন সময়টায় ভর্তির জন্য আবেদন করবেন, সে বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। অধিকাংশ দেশে ফল সেশন শুরু হয় আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে। এই সময়ই বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করে। আবার এই সেশনেই শিক্ষাবৃত্তি বা অর্থায়নের সুযোগও পাওয়া যায় বেশি। আর অন্যটা হলো গ্রীষ্মকালীন সেশন। এ সময় স্থানীয় শিক্ষার্থীদের বেশি সুযোগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
৫. আবেদনের জন্য কাগজপত্র তৈরি
স্কুল/কলেজ থেকে প্রশংসাপত্র, সনদ ও নম্বরপত্র তুলতে হবে। অল্প কথায় নিজেকে নিয়ে একটি নিবন্ধ লিখতে হবে। আপনার লেখা নিবন্ধ পড়ে যেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বোঝে যে আপনি মানুষ হিসেবে কেমন। আপনার যদি ছবি আঁকতে, ফুটবল বা ক্রিকেট খেলতে ভালো লাগে, সেটাও নিবন্ধে লিখবেন। সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দারুণ গুরুত্ব দেয়।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভর্তির জন্য আবেদন করতে হয়। এমআইটির জন্য MyMit (https://my.mit.edu/uaweb/login.htm)–এ একটা অ্যাকাউন্ট খুলতে হয় আর যুক্তরাষ্ট্রের বাকি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অ্যাকাউন্ট খুলতে হয় এই ঠিকানায়: Common Application (www.commonapp.org/Login)। কেমব্রিজ, অক্সফোর্ডসহ ইংল্যান্ডের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির জন্য (www.ucas.comকরতে হয় আলাদা আলাদা আবেদন।

Leave a Reply

Subscribe to Posts | Subscribe to Comments

- Copyright © RABBY - Date A Live - Powered by Blogger - Designed by Johanes Djogan -